শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চুরির অভিযুক্তকে বাঁচাতে ইউপি সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্ত চোরের চাচা লাল মিয়া। এর প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও সদস্যরা শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ভটপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের বসত বাড়িতে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। তার বাড়ির সুক্যাশের লংকারে জমি বন্দকীর ১ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়ে যায়। বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম বাড়িতে এসে দেখেন তার সুক্যাশ ভাঙা। একই গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র মোশারফ হোসেন বাড়ির পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় বাড়ির মালিক আমিনুল চুরির অভিযুক্ত মোশারফকে ধাওয়া করেন। এতে দৌঁড়ে পালানোর সময় মোশারফ ৬ হাজার ৩৫০ টাকা ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনার ৪ দিন পর নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সাহায্যে তাকে আটক করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হবির কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই ইউপি সদস্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে চুরির অভিযুক্ত মোশারফকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে তার চাচা লাল মিয়ার কাছে বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকেই লাল মিয়া কিছু দুষ্কৃতকারীদের সাথে আতাত করে ইউপি সদস্যদের সম্মানহানির জন্য কিশোর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে শেরপুর আদালতে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরই প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, চুরির দায়ে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন একজন দাগী চোর। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এর আগে চুরির দায় থেকে বাঁচতে তার অভিভাবক মুচলেকা দিয়েছেন। এমন অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউপি সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, নুর ইসলাম, ইউপি সদস্য রথীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, মজিবর রহমান, হাবিবুর রহমান হবি, আবদুল মান্নান, আজাফর আলী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।