শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পঞ্চাশ শতাংশ বন্ধকী জমির এক লাখ টাকা ফেরত ও হামলার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় দিনমুজুর পরিবার। শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার শিমুলতলা ব্রীজপাড় এলাকায় বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী দিনমুজুর আব্দুল মোতালেব জানান, বিগত চার বছর আগে নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারোপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আজহার আলীর পিতা কাশম আলীর কাছ থেকে ৫০ শতাংশ জমি এক লাখ টাকার বিনিময়ে লিখিত বন্ধকী দলিলমুলে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আবাদ করার জন্য জমি বুঝে নিতে চাইলে জমির মালিক টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে দিনমুজুর আব্দুল মোতালেব প্রথমে নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দাবী করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সুরাহা দিতে না পারায় মোতালেব শেরপুর ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। শেরপুর ডিবি কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে ডেকেও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। ডিবি কার্যালয়ে থেকে দিনমুজুর আব্দুল মোতালেব গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে বাড়ি ফেরার পথে শিমুলতলা ব্রীজপাড় এলাকায় এলে জমির মালিকের ছেলে ইউপি সদস্য আজহার আলীর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি মোতালেবের গতিরোধ করেন এবং বন্ধকী জমির দলিল ছিনিয়ে নিতে চান। এ সময় বন্ধকী জমির ওই দলিলটি দিতে না চাইলে তার সঙ্গীয়রা তাকে মারপিট শুরু করে তা ছিনিয়ে নিতে চায়। এতে মোতালেব জানের ভয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলেও ইউপি সদস্য আজহারের নেতৃত্বে সঙ্গীয়রা তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল শিমুলতলা গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মোতালেব ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ দিনমুজুর মোতালেবকে উদ্ধার করে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। বর্তমানে ওই দিনমুজুর পরিবারটি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তার কষ্টার্জিত বন্ধকী জমির এক লাখ টাকা ফিরে পেতে ও হামলার বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিষয়টি জানতে চেয়ে নয়াবিল ইউপি সদস্য আজহার আলীর মুঠোফেনে বার বার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।