শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ রুপালী বেগমকে (১৮) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি আরিফুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ জামালপুর ও র্যাব-১ গাজীপুরের সদস্যরা।
রবিবার (৩০ জুন) সকালে গ্রেপ্তারকৃতকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে র্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর জেলার গাছা থানার শরীফপুর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর গ্রামের আব্দুর রশিদের কন্যা রুপালী বেগম প্রায় ছয় মাস আগে একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে রাতুল মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী রাতুল মিয়া প্রায় সময় স্ত্রী রুপালীকে সংসারের সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়াঝাটি করতেন।
এছাড়া আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে রুপালী বেগমকে গত ১৪ জুন বিকেলে যৌতুক বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। ওইসময় রুপালী তার স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাতুল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। রুপালী বেগম রাতুলকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতুল তার হাতে থাকা লাঠি সোটা দিয়ে রুপালীকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামীরা তার হাত, পা চেপে ধরে রাখে ও গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় নিহত রুপালীর বাবা আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে ওই মামলার আসামীরা গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার দুপুরে র্যাবের সদস্যরা গাজীপুরের গাছার শরীফপুর কোনাবাড়ী এলাকার বাবু হোসেনের বাড়ী থেকে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ রুপালী হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী আরিফুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এ ব্যাপারে র্যাব -১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেপ্তার আসামী আরিফুলকে নালিতাবাড়ী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতেও র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।