শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) সকালে পৌরশহরের সেঁজুতি বিদ্যানিকেতন এর আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে সকালে সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের স্বত্বাধিকারী মুনীরুজ্জামান। পতাকা উত্তোলন শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেঁজুতি অঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভায় প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী, শিক্ষক শান্তি সাহা, সাংবাদিক শাহাদত তালুকদার, শিক্ষক অমিত চক্রবর্তী, একুশে দ্যুতি ও চন্দ্রিকা দ্যুতি।
এতে বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়। ২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস। পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এটিই আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হয়ে দাড়িয়েছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক দিলারা বেগম, আফরোজা আক্তার, রওনক জাহান রনি, শঙ্করী সূত্রধর, মনি গাঙ্গুলি, তনিমা ইসলাম, পারভীন আকতার, জেসমিন আকতার, নাজমা খাতুন, ফারজানা বেগম, মমতাজ বেগম, শিরিন বেগম, সুজান্না সাংমা, রাশেদা আকতার, রিক্তা আকতার, রত্না রহমতুল্লাহ ও শর্মিলা শরীফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্র সমাবেশে ছাত্রনেতা আসম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। স্বাধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়, যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।