শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় এক আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে কান্তি মারাক নামে এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. আকতারুজ্জামান আসামীকে এ মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সাথে এক লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার পানিহাতা গ্রামের নিতিশ মান্দার ছেলে তিন সন্তানের জনক কান্তি মারাক প্রতিবেশী গ্রাবিয়েল দিউয়ার ৮ বছর বয়সের শিশু কন্যা ভাগিনী সম্পর্কের ওই শিশুকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটি ডাক-চিৎকার শুরু করেলে ধর্ষক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের পানির সেচের ড্রেনে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার নানা প্রজিন্দ্র মারাক বাদী হয়ে পরের দিন ৩১ মার্চ নালিতাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিন ময়মনসিংহ জেলার পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলায় ধর্ষকের বোনের বাড়ি থেকে ধর্ষক কান্তি মারাককে গ্রেফতার করে। পরিবর্তিতে ২০১৩ সালের ৪ জুন মামলার চার্জগঠন শেষে বিচারের কাজ শুরু হলে ১১ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহন এবং আসামীর জবানবন্দিতে নিজের দোষ স্বীকার করলে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলায় ট্রাইব্যুনালের স্পোশার পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।