ফাইল ছবি-
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট সব সময় নারী-পুরুষের সমতা এবং জনজীবনে নারীর অংশগ্রহণের নীতিকে সমর্থন করে। নারীদের অবহেলিত করে রাখলে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়।
আজ শনিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে এই সংবর্ধনা দেয় নারী বিচারকদের সংগঠন মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে বিচার বিভাগে নারীর কথা ভাবাই যেত না। আজ তা পরিবর্তন হয়েছে এবং নারী-পুরুষের সমতা নির্ধারণে অগ্রগতি হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতারোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া নারী যাতে কোনো ফতোয়ার বলি না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যুগান্তকারী রায় দিয়েছে।’
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘অধিকাংশ নারী বিচারক তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে আরও অধিক সংখ্যক নারী বিচারপতি নিয়োগে আমরা সচেষ্ট থাকব।’
জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আরও নারী বিচারক নিয়োগের বিষয়টি ‘সক্রিয়ভাবে বিবেচনা’র আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংগঠনের সভাপতি তানজিনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সামিনা খালেক, সংগঠনটির উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নূরুন্নাহার ওসমানী প্রমুখ।