শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়ক দুই লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় জমির প্রকৃত মালিককে ক্ষতিপূরণের ১৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক তার নিজ কার্যালয়ে জমির প্রকৃত মালিক নালিতাবাড়ী উপজেলার বেলতলি মন্ডলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফিরু মোহন হাজংয়ের হাতে ওই চেক তুলে দেন। ওইসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ হেলালুজ্জামান সরকার, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি, ফিরু মোহন হাজংয়ের আইনজীবী ইয়াছমিন আক্তার, এলএ শাখার উচ্চমান সহকারী গৌতম নন্দী, সার্ভেয়ার মোঃ আলী হোসেনসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, নালিতাবাড়ীর নাকুগাও স্থলবন্দর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাকুগাঁও মৌজার বিআর এস ৫৯ খতিয়ানভুক্ত ৫৩২ দাগে ০.৯৩ একর অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের জন্য জমির মালিক মৃত মাহারাম হাজংয়ের ছেলে ফিরু মোহন হাজং ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু ফিরু মোহন হাজং অসুস্থ থাকায় তার মেয়ে কুন্তলা রানী হাজং স্থানীয় চক্রান্তকারীদের যোগসাজসে তার পিতার অজান্তে দু’টি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ফিরু মোহন হাজং ও তার নিয়োগকৃত আইনজীবী ইয়াসমিন আক্তার বুঝতে পেরে ওই দু’টি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল করেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার ওই ভূমির ক্ষতিপূরণের ১৪ লক্ষ ১২ হাজার ২শ ৬১ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
ফিরু মোহনের আইনজীবী ইয়াছমিন আক্তার জানান, যথাসময়ে সঠিক কাগজপত্র এল,এ শাখায় জমা না দেওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণের চেক পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছিল। এক্ষেত্রে দু’টি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এল. এ. শাখায় দাখিল করা হয়েছিল যা আমি ও আমার মক্কেল ফিরু মোহন হাজং জানতাম না। এতে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়। কিন্তু এল এ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতা ও যথাযথ আইনগত পদক্ষেপের কারণে ফিরু মোহন হাজং জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণের সুযোগ পেলেন। এতে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও খুশি। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি জেলা প্রশাসনের যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ ও বিচক্ষণতার কারণেই ফিরু মোহন হাজং ওই ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণ করতে পেরেছেন এবং ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। অন্যথায় চক্রান্তকারীরা ওই চেক গ্রহণ করে ফিরু মোহন হাজং কে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতো।