শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানীযোগ্য ১৯টি পণ্য থাকলেও বর্তমানে পাথর ও মাঝে মধ্যে কয়লা আমদানী করছেন ব্যবসায়ীরা। সহজে আমদানী করতে ও লাভজনক পণ্য আমদানীর অনুমতি না থাকায় বাকী পণ্য আমদানী করতে পারছেন না তারা। পণ্যগুলো আমদানী করা হলে দেশের পণ্য চাহিদা মিটিয়ে সরকারি রাজস্ব আয় বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
জানা গেছে, বন্দর কতৃপক্ষের নিজস্ব পরিচালনায় ২০১৫ সালের ১৮জুন নাকুগাঁও স্থলবন্দরে অপারেশন শুরু হয়। ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দরের উন্নয়নকাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এর কার্যক্রম শুরুর দিকে কয়লা আমদানী করা হলেও এখন পাথর ও মাঝে মধ্যে কয়লা আমদানী করা হচ্ছে। নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানীযোগ্য পণ্যগুলো হলো- গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, ও কোয়ার্টজ।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, এ বন্দর দিয়ে বর্তমানে ভারত থেকে পাথর আমদানী করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে অল্প পরিমান কয়লা আসছে। যেসব পণ্য আমদানী করা সহজ হবে সেসব পণ্য আমদাী করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ বন্দরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থাকায় সেখান থেকে শুটকিমাছ, খৈল, সুপারি ও পশুখাদ্য আমদানী করা সহজ এবং লাভজনক হবে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে বার বার আবেদন করেও কোন ফল হচ্ছে না। তিনি এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজেশ চাকমা জানান, এ বন্দর দিয়ে উল্লেখিত ১৯টি পণ্য আমদানী ও নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সকল পণ্য রফতানী করা যাবে। তবে যেসব পণ্য আমদানী করে রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন সেসব পণ্য তারা নিয়মানুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।