শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টটি দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডালু ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে লোকজন আসা যাওয়া শুরু করেছেন । এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
ইমিগ্রেশন সুত্রে জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার এবং সকল প্রকার পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাথর ও কয়লা আমদানি শুরু হলেও বন্ধ থেকে যায় যাত্রী পারাপার। দীর্ঘ ৩ বছর পর বৃহস্পতিবার এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
পাথর, কয়লা আমদানিকারকরা বলছেন, ৩ বছর পর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার খবরে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি হয়েছেন। কারণ এই দীর্ঘ সময় তাদের যাতায়াত বন্ধ থাকায় আমদানি পণ্যের গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব হতো না।
ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএসআই হানিফ উদ্দিন যাত্রী পারাপারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশী এবং ৫ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন শেষ করে ভারতে পাঠানো হয়েছে।