দীর্ঘদিন পর দলে ফিরলেন, একাদশেও সুযোগ পেলেন, আর তাতেই বাজিমাত করলেন নাঈম হাসান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপেক্ষে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার। এটি তার ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার।
আর সর্বশেষ উইকেটটি নিলেন ১৫৩তম ওভারের শেষ বলে। ডাবল সেঞ্চরি থেকে এক রান দূরে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। তার আগে ১৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাঈম। তার ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। তিনি মাত্র ১ রান করেন। এর মধ্য দিয়ে ৩৯৭ রানে থামলো লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস।
গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন নাঈম হাসান। তার শিকার হন লঙ্কার দুই ওপেনার দ্বিমুথ করুণারাত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো। আজ দ্বিতীয় দিনও প্রথম সেশনে তার জোড়া শিকারে ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিকরা।
ভয়টা ক্রমশ বাড়ছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমালের জুটি যে কেবল বড় হচ্ছে। আজ চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে আবার ক্রিজে নেমে তারা দারুণ ব্যাট করতে থাকে। বড় সংগ্রহের দিকেই যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের জুটি দাঁড়ায় ১৩৬ রানে। ঠিক এমন সময় বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিলেন নাঈম হাসান।
লঙ্কানদের স্কোর তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান। ১১৪তম ওভারে বল করতে আসেন নাঈম। প্রথম বলেই দিনেশ চান্দিমালকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬৬ রান করেছেন চান্দিমাল। এরপর ক্রিজে আসেন নিরোশান ডিকওয়েলা। এই ওভারের পঞ্চম বলে তাকেও প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে দেন নাঈম। মাত্র ৩ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার।
বাকি চারটি উইকেটের মধ্যে সাকিব আল হাসান ৩টি ও তাইজুল ইসলাম একটি শিকার করেন। নাঈম ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০৫ রান খরচায় উইকেটগুলো নেন। ইকোনোমি ৩.৫০। তবে সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন সাকিব। তিনি ৩০ ওভার বল করে মাত্র ১.৫৩ ইকোনোমিতে ৬০ রান খরচ করেন।