আজ ৯ ডিসেম্বর। শেরপুরের নকলা উপজেলার হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ১১৭ জন সশস্ত্র রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছিল নকলা উপজেলা।
নকলা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সকাল ৭টায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। পরে অস্ত্রসহ রাজাকারদের দলটি আত্মসমর্পণের পরই নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা।
আত্মসমর্পণকৃত রাজাকারদের সাথে নিয়ে অ্যামবুশে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধারা নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসে। এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন রানা সিং, লেফটেন্যান্ট তাহের, লেফটেন্যান্ট কামাল, কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর হক চৌধুরী, ইপিয়ারের নায়েক ফরহাদ, এসও একলিম শাহ্, প্লাটুন কমান্ডার এস.এম.নুরুল ইসলামসহ মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা। এসময় নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এসও একলিম শাহ বলেন, রাজাকাররা নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে এবং অস্ত্রসহ তারা আত্মসমর্পণ করার পরই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়।