শেরপুরের নকলা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার হাবুল উদ্দিনকে ৩০ জুন শুক্রবার গ্রেফতার করে শেরপুর কোর্টে প্রেরণ করেছে নকলা থানা পুলিশ। জালালপুর ও জালপাড়া এলাকার ছেলেদের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে মারামারি ও নারীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামী হওয়ায় হাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ২৮ জুন বুধবার ঈদ উৎযাপনে ভ্রমন করা অবস্থায় অজ্ঞাত কয়েকজন মেয়ে পৌর এলাকার জালালপুর এলাকাস্থ ঢাকা-শেরপুর রোডে অটো রিক্সা যোগে নকলা শহরে আসছিলো। উক্তস্থানে নকলা শহরের জালপাড়া এলাকার কিছু বখাটে ছেলে ইভটিজিং করে। প্রথমে অটোচালক আলম বাধা দিলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাকে মারধর করে। তাদেখে ওই এলাকার চা-পানের দোকানদার বাবুল দৌঁড়ে গেলে তাকেও এলোপাথারি মারধর করে বখাটেরা। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার কিছু জনগন দৌঁড়ে আসলে বখাটেরা তাদের উপরেও ক্ষিপ্ত হয়। তখন এলাকাবাসীরা উল্টো উত্তম মাধ্যম দেওয়া শুরু করলে বখাটেরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বখাটেদের মা-বোন গঠনাস্থলে পৌঁছে হাবুল কশিনারের ভাই হাফিজুলকে কলারে ধরে টানা হেচরা শুরু করে। তাদেখে এলাকার কয়েকজন মহিলা বখাটের মা-বোনদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। এ আক্রোশে জালাপুরের মিলন নামের এক ছেলে বাইপাস এলাকা থেকে ঘুরে যাওয়ার সময় অতর্কিতভাবে হামলা করে তাকে আহত করে। এবিষয়ে বখাটেদের পরিবারের পক্ষথেকে মারামারি ও নারীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে নকলা থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় হাবুল কমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নকলা থানার ওসি খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।