‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ স্লোগানে সারাদেশের ন্যায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় শেরপুরের নকলা উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে হতদরিদ্রের জন্য স্বল্পমূল্যে (১০টাকা প্রতি কেজি দরে) খাদ্যশস্য (চাল) বিক্রি শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সোমবার থেকে ডিলারের মাধ্যমে এ চাল বিক্রি শুরু হয়।
চাল বিক্রির দোকান সমূহ পরির্দশন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, বানেশ্বরদী ইউপি’র চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, তদারককারী কর্মকর্তা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী হাফিজুর রহমান, ডিলার মাফিজুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদসহ সাংবাদিকবৃন্দরা।
ডিলার মাফিজুল হক জানান, বানেশ্বরদী ইউনিয়নে ৮৯৮ হতদরিদ্র পরিবার এই সুবিধা ভোগ করছে। তারমধ্যে তার দোকানের আওতায় রয়েরেছ ৪৫৫ জন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান জানান, সারাদেশে অন্তত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। বছরে ৫ মাস করে প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রতি পরিবার ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন। তিনি আরো জানান, নকলা উপজেলায় ৯টি উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক বাছাই করা ও প্রেরণকৃত তালিকা অনুযায়ী সুবিধাভোগির সংখ্যা নির্ধারন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানদের দেওয়া তথ্য ও তালিকা মোতাবেক উপজেলায় মোট ৯ হাজার ৮৬৮ হতদরিদ্র পরিবারকে এই স্বল্প মূল্যে শস্য ক্রয়ের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। চাল বিক্রি ও ক্রেতাদের সুবিধার লক্ষে পৌরসভা ব্যতিত প্রতি ইউনিয়নে ২ জন করে মোট ১৮ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। এসব ডিলারের নিদৃষ্ট দোকানে প্রতি সপ্তাহে সুবিধা অনুযায়ী ৩ দিন স্বল্প মূল্যের চাল বিক্রি করা হয়।