শেরপুরের নকলা উপজেলায় বিএডিসি’র আলু’র মাঠ পরিদর্শন করেন ঢাকার বিএডিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চরমধুয়া ব্লকের কৃষক মোঃ মজনু মিয়ার আলু মাঠসহ বিভিন্ন আলু মাঠ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে বিএডিসি ঢাকা’র উপ-পরিচালক (মান নিয়ন্ত্রন) এএইচএম খাইরুল আলম শামীম, বিএডিসি নকলা হিমাগার’র উপ-পরিচালক (টিসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় আলুচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পরিচালক (টিসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষকদের পরামর্শ সেবাদান, তদারকী ও দৈনিক রুটিন অনুযায়ী কৃষকদের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে নকলা উপজেলাকে ২৫ টি ব্লকে ভাগ করে সেবা দান চলছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০০ একর জমিতে ২০৪ মেট্রিকটন বিএডিসি আলু বপন করা হবে। এর জন্য প্রতি ব্লকে গড়ে ২ জন করে মোট ৫০ জন আলু চাষী নির্বাচন করা হয়েছে। এবছর নকলায় এক হাজার ৭৫০ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর বিএডিসি’র আওতায় ১৪ টি ব্লকে আলুচাষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ডায়মন্ড, গ্র্যানুলা ও কার্ডিনাল জাত বেশি চাষ করা হয়েছিল। বিএডিসি প্রদর্শনী আলু ক্ষেতের উৎপাদিত আলু গ্রেডিং করার পর ন্যায্য মূল্যে কিনে নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। এবছর আলু চাষের জন্য হিমাগারে সংরক্ষিত আলুবীজ সরকারের নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।