
শেরপুরের নকলা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চন্দ্রকোনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজু সাইদ ছিদ্দিকী (নৌকা) প্রতীকের সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জান গেন্দু (আনারস) প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহতের খরর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. রফিকুল ইসলাম, উল্লাস (৩০), হাসান (১৭), নাছিমা (৪৮), সালমা (৪৫), শেফালী (৫০) মিনা পারভিন (৪০), মেহের আলী (৬৫), বিশাল (১৭), জাকির (১৮)সহ ১৫ জন। আহতরা নকলা উপজেলা সদর হাসপাতালসহ ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় প্রার্থী তুলে ধরেন পাল্টা অভিযোগ।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাজু সাইদ সিদ্দিকী বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে ৫/৬ জন আহত হয়েছে। অফিসে হামলা করে চেয়ার ভাংচুর করেছে।
অপরদিকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের মেয়ে কর্মীরা এলাকায় ভোট চাইতে গেলে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদেরকে আটক করে। এ সংবাদ শোনে আমার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে তারা হামলা করে। এতে আমাদের ৮/১০ জন কর্মী আহত হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসা শেষে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আর যদি কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ টহল দিচ্ছে।