শেরপুরের নকলা উপজেলার চরকামানিপাড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে কোহিনুর বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। এর তিনদিন আগে তিনি নিখোঁজ হন।
বোনের অর্ধগলিত মরদেহ সনাক্ত করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ভাই আব্দুল গফুর। তিনি অভিযোগ করেন। “স্বামী দুলু মিয়া আমার বইনডারে মারইরা ফালছে। আমার ভাইগনা সোহানও জড়িত আছিল। আমি বিচার চাই।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টালকি ইউনিয়নের চরকামানিপাড়া গ্রামের কৃষক দুলু মিয়া (৫০) মিয়ার সাথে দুই যুগ আগে বিয়ে হয় কহিনুরের। তিনি পার্শ্ববর্তী সাইলামপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। তাদের চার সন্তান রয়েছে।
কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। সম্প্রতি তা চরম আকার ধারণ করে। দুলু মিয়া প্রায়ই কারণে অকারণে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও মারধর করত। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন কোহিনুর বেগম।
বুধবার সকালে ছোট ছেলে সোহান চরকামানিপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি পরিত্যক্ত ডোবার কচুরিপানার নিচে তার মায়ের পড়নের কাপড়ের দেখতে পায়। পরে বাড়ীর লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে থানায় খবর দেন। কিন্তু ঘটনা জেনে স্বামী দুলু মিয়া পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে সুজন (১৬) ও সোহানকে আটক করা হয়।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, সম্ভবত স্বামী দুলু মিয়া স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিল। তিনি বলেন, নিহতের ভাই তাঁর ভাগ্নে সোহান কেও সন্দেহ করছে। আমরা তদন্তে নেমেছি। জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।