শেরপুরের নকলায় পিতার নাম ‘আওয়ামী লীগ’ ও মাতার নাম ‘রোকিয়া বেগম’ উল্লেখ করা হয়েছে লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ডে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ছোটখাটো ভুল ছাপিয়ে এবার এ ধরনের একটি ভুল নজরে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ওই জাতীয় পরিচয়পত্রটি ভাইরাল হওয়ায় হৈ চৈ পড়ে যায়। ভাইরাল হওয়া পরিচয়পত্রে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, লিটন মিয়ার বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভার ইসবপুর গ্রামে।
লিটন মিয়া অনেকদিন যাবত ঢাকায় বসবাস করছেন। স¤প্রতি তিনি নকলায় এসে তার জাতীয় পরিচয়পত্রটি নির্বাচন অফিস থেকে সংগ্রহ করেন। পরে কে বা কারা ওই জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে ফেইসবুকে ভাইরাল করে। ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ায় এলাকায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিটনের জন্মের আগেই তার বাবা মারা যান। জন্মের পর তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে যান। দ্বিতীয় সংসারে তার মা মারা গেলে সে এতিম হয়ে পড়ে। এরপর থেকে সে নকলা পৌর শহরের জালালপুর এলাকায় তার নানীর কাছেই বড় হয়। তবে বেশ কয়েক বছর পর সে নকলা শহরের ইশিবপুর ঝালপট্টি এলাকায় স্থানীয় একজনের আশ্রয়ে বসবাস শুরু করেন।
নির্বাচন কমিশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নয়, ইসির তথ্য ভান্ডারেও রয়েছে এমন তথ্য। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডারে তার পিতার নাম ‘মৃত আওয়ামী লীগ’ লেখা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংশোধনের আবেদন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে তাকে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা পেতে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।
তিনি আরো বলেন, এরআগে এরকম একটি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছিল যেখানে নিজের নামের জায়গায় মো. নির্বাচন মিয়া, অন্য একজন মহিলার নামের জায়গায় কুমিল্লা বেগম এবং অন্য আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নামের জায়গায় লেখা ‘বিএনপি’।