ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে চাই নতুন জাম কাপড়, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রী। মোসলমান সব পেশা শ্রেণির মানুষের নতুন কিছু একটা না হলে যেন ঈদই হয় না। প্রথম দিকে কেনাকাটা করলে সবকিছুই সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় এমন বিশ্বাসে শেরপুরের নকলার অনেকেই রোজার প্রথম দিকেই কেনাকাটা শেষ করেছেন। এখন চলছে শেষ মূহুর্তের কেনাকাটা। অনেক টেইলার্স অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা যেসব অর্ডার নিয়েছেন তা ঠিক সময়ে ডেলিভারী দিতে নির্ঘুম রাতকাটাচ্ছেন দর্জিরা।
রোজার প্রথম সপ্তাহে থান কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীড় ছিল ল্য করারমত। তবে এক সপ্তাহ যাবৎ থান কাপড়ের দোকান ব্যাতীত অন্যসব দোকানে কেনাকাটা বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের ভিড় লেগেই থাকছে। বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাত কোথাও ক্রেতাদের উপস্থিতি কমতি নেই। এক দোকান থেকে আরেক দোকানে নতুন কিছু কেনার জন্য ছুটছেন ক্রেতারা। অনেক দোকানে ক্রেতারা বসার স্থান পাচ্ছেননা।
ক্রেতাদের সাথে কথাবলে জানা গেছে, ঈদের বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি মনেহচ্ছে। নির্ধারিত বাজেটে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা রীতিমত হিমসিম খেলেও সাধ্যমত নতুন পণ্য কিনে বাড়ী ফিরছেন। বিভিন্ন দোকানিরা জানান, গত বোরো আবাদ বন্যায় নষ্ট হলেও চাকরি জীবিদের বেতন বাড়ায় গত বছরের তুলনায় বেচা-কেনাও বেড়েছে। বর্তমানে ধানের দাম ভালে াথাকায় কেনা কাটায় পিছিয়ে নেই কৃষক পরিবারের সদস্যরাও। গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দেকানে ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবছর বিদেশী টিভি সিরিয়ালের চরিত্রের নামে নামকরন করা বিভিন্ন পণ্যের চেয়ে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।
কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অরগেন্ডি, আরং সহ বিভিন্ন থ্রিপিচ বেশি চলছে আর শাড়ির মধ্যে বেনারশি, জামদানি, টাঙ্গাল্লা, পাকিজা ও পারফেক্ট শাড়ী বেশি চলছে, যার দাম ৫০০ টাকা থেকে ৮হাজার টাকার মধ্যে। এটিএম, আমানত শাহ, শাহ আমানত, ওন্ডারফুল সহ বিভিন্ন নামের লুঙ্গিও বেশ বিক্রি হচ্ছে যার দাম ৩শ ৫০ থেকে ১৩শ টাকার মধ্যে এবং গজ বা কাটা কাপড়ের মধ্যে জয়পুরী, পাকিজা ও বেক্সি ভয়েল আশাতীত বিক্রি হচ্ছে, যার দাম গজ প্রতি ৭০ থেকে ১২০ টাকা। আর জরটের দাম গজ প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। পাজামা-পাঞ্জাবী ও প্যান্ট-শার্টের কাপড়ের চাহিদাও কম নেই। তবে বর্তমানে রেডিমেড পোশাকের দিকে সব বয়সের ক্রেতারা ঝুঁকছেন। বাজার ঘুরে এমনটাই প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রসাধনী বিক্রেতারাও দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না। কসমেটিকস্ দোকানগুলোতে সব শ্রেণীর মেয়ে ও নারীর উপচেপড়া ভীড় লনীয়। জুতার দোকান গুলোতেও এর ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের ৪শতাধিক টেইলার্স গুলোতে প্রচুর অর্ডার নিয়ে ক্রেতারা ভীড় করলেও শহরের অনেক নামিদামি টেইলার্স গুলো আর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
তাছাড়া যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ও যানজট নিরসনে পুলিশ ও ট্রাফিক প্রশাসন পক্ষথেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সারা শহরে যথেষ্ঠ আলোর ব্যবস্থা করেছে পৌর কতৃপক্ষ।