৯ডিসেম্বর শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাদা ভাবে মতবিনিময়সহ ধান কর্তন, আদর্শ বীজতলা, কৃষি মাঠ, রাবার ড্যাম ও কৃষি সংগঠন পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল আজিজ।
মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধায় নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে উপজেলায় কর্মরত সকল কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেন। তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আসাদ উল্লাহ, শেরপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ আব্দুস ছাত্তার, ডিজি মহোদয়ের একান্ত সচিব কৃষিবিদ মোঃ রাকিবুজ্জামান খান।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর, নকলা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনসুর আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান, স্থানীয় সাংবাদিক ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদ জিয়াউল হক, উপজেলার একমাত্র মহিলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসমাতুন মাসুমা জাহান পলাশীসহ উপজেলায় কর্মরত সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় আদর্শ বীজতলায় প্রতি শতাংশে ২.৫ কে.জি করে ধানের বীজ বপন, বীজতলায় আলোক ফাঁদ স্থাপন ও পার্চিংসহ বৃষ্টি থাকাবস্থায় ধানের বীজতলা, সরিষা ও আলু ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে নালা কেটে দেওয়া এবং বৃষ্টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধান না কাটার জন্য কৃষক ভাইদের পরামর্শ দিতে সকাল থেকেই মাঠ থাকতে কৃষি কর্মকর্তাসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে পরামর্শ দেন। তাছাড়া বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন মূলক পরামর্শসহ কৃষকদেরকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বোদ্ধ করতে তাগিদ তিনি। এলাকা ঘুরে কৃষি উন্নয়নের সাথে যুক্ত বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়ন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে সংশ্লিষ্ট অফিস ও কর্মকর্তাদের প্রতি ডিজি মহোদয় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল আজিজ শনিবার রাতে সাংবাদিকদের সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকারে জানান, আদর্শ বীজতলার মাধ্যমে বীজ বপন করলে সারাদেশে যে পরিমাণ ধান বাঁচবে তা দিয়ে ১০ লক্ষাধিক লোকের খাবার হয়ে যাবে। তাছাড়া ক্ষেতের সমযতœ নিশ্চিত করতে প্রতি ১০ সাড়ি অন্তর একটি সাড়ি বাদ দিয়ে (লৌহ পদ্ধতিতে) ধানের চারা রোপন করার পরামর্শ দেন তিনি। এতে ঘাস ফড়িংসহ যেকোন পোকা এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমন কম হবে।
এর আগে তিনি শেরপুর খামার বাড়ীর উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এবং নালিতাবাড়ীর কৃষি অফিসের হলরুমে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে আলাদা ভাবে মতবিনিময় সভা করেন। তাছাড়া নালিতাবাড়ীর রাজনগর এলাকার নির্মানাধীন কৃষি সেবা কেন্দ্র, চেল্লাখালি রাবারড্যাম প্রকল্প এবং বিভন্ন কৃষি মাঠ ও কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার পরিদর্শন করেন। তাছাড়া কৃষকদের জন্য ২৩ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত লিফলেট সবার হাতে পৌঁছেছে কিনা? সব কৃষক তার সেবা পাচ্ছেন কিনা? তা তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করার মাধমে যাচাই করেন।