শেরপুরের নকলায় এক কিশোরী ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে আজগর আলী (৫০) নামে এক দিনমজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মে) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২২ মে) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আজগর আলী নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদাগৈরড় মহল্লার মৃত টেপু মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী-সন্তান এমনকি নাতি-নাতনীও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১ বছর আগে কিশোরীর দিনমজুর বাবা মৃত্যুবরণ করলে ৬ সদস্যের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। মা অন্যের বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এ অবস্থায় কিশোরী শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে পরিবারকে সহায়তা করে আসছিল। দরিদ্র এই কিশোরীকে প্রতিবেশী দিনমজুর আজগর আলী ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। ধর্ষণের ফলে কিশোরী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং গত ১৩ মে সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় একটি মহল ঘটনার মিমাংসা ও ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায়। এমনকি কিশোরীর পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিতে থাকে। ঘটনার সুবিচার না পেয়ে ভিকটিমের পরিবার পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে নকলা থানায় মামলা রেকর্ড হয় এবং ২১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরী ফুটবলারের দায়ের করা মামলায় আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অপরাধীর বিচার দাবি করেছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ বলেন, কিশোরীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় দিনমজুর আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে শুক্রবার বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার শিকার ওই কিশোরী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টের চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। স্থানীয় বিভিন্ন টুর্ণামেন্টে তার রয়েছে কৃতিত্বপূর্ন অবদান।