শেরপুরের নকলায় কবর স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করতে তাসের দিয়ে জুয়াখেলায় বাধা দেওয়ায় জুয়ারীদের দায়ের কুপে আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন চন্দ্রকোণা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাছুর আলগা গ্রামের আ: হাকিমের ছেলে আতিকুর রহমান আতিক। এ বিষয়ে আতিকের বড়ভাই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭জনকে বিবাদী ও ৫জনকে স্বাক্ষী করে নকলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ২৮ জুন বুধবার দুপুরে মমিনুলদের পারিবারিক কবরস্থানে বিবাদীরা তাসদিয়ে জুয়া খেলতে বসে। কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করতে আতিক তাস খেলায় বাধা দিলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বিবাদীরা দৌঁড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে রামদা এনে এলোপাথারি কুপায়। আতিকের ডাক চিৎকারে তার মাতা মঞ্জুরা সহ পলি নামের আরেক মহিলা গেলে তাদেরকেও এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। দুই মহিলা নকলা হামপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেলেও আতিকের অবস্থা গুরুতর দেখে নকলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আতিক বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
নকলা থানার ওসি খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে খুবদ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। চন্দ্রকোণা তদন্ত কেন্দ্রের আইসি জহুরুল হক ২৯জুন দুপুরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এই বিষয়েই আজ আমি নকলা থানায় আসছি। তবে অনেক মুসলিম জনতা জানান, কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করতে কবরস্থানের মধ্যে বসে জুয়া খেলায় বাধা দিয়ে যদি হাসপাতালে স্থান হয় তাহলেতো দেশে কোন অন্যায়ের প্রতিবাধকারি থাকবে না। এমন অভিযোগে তারা দ্রুত বিচার কামনা করেন।