পড়িলে বই আলোকিত হই- না পড়িলে বই অন্ধকারে রই এই শ্লোগানকে ধারন করে শেরপুরের নকলায় প্রথম বারের মতো উপজেলার সকল (৯টি) ইউনিয়নে পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৪ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলার উরফা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল হক হীরার সভাপতিত্বে এবং ইউপি সচিব মোঃ আক্তার উজ্জামানের সঞ্চালণায় আলোচনা সভা ও লাইব্রেরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (জামালপুর জেলায় এডিসি হিসেবে পদায়ন প্রাপ্ত) রাজীব কুমার সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষে বানেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, উরফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাস্টার, উরফা গোরস্তান দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মোঃ সেকান্দর আলী প্রমুখ।
এসময় উপজেলার সবকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাধিকগন ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য মতে, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাবলিক লাইব্রেরির বই রাখার জন্য একটি করে আলমিরাহ এবং মোট তিন লক্ষাধিক টাকার বই চেয়ারম্যানদের হাতে আলাদা ভাবে তোলে দেওয়া হয়। ওই লাইব্রেরিকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে চেয়ারম্যানগনদের প্রতি অনুরুধ জানান বক্তারা। তাছাড়া শিক্ষার্থীসহ এলাকার সবাইকে ওই লাইব্রেরিতে বই পড়ার অভ্যাস করতে এলাকার অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট বিতার্কিক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা রাজীব কুমার সরকার। রাস্তা-ঘাট, কালবার্ট, ব্রীজ, সেতু, মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, হাটবাজারসহ দেশের যাবতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি আজ থেকে লাইব্রেরির উন্নয়নের জন্যও চেয়ারম্যানদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। প্রতিটি এলাকায় লাইব্রেরি গড়ে উঠলে বই পড়া আন্দোলন আরও বেগমান হবে বলে মনে করেন সবাই। তাতে দেশ আর দ্রুত উন্নয়নের দিকে দাবিত হবে বলে জানান তারা।