শেরপুরের নকলার ১নং গণপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী শামছুর রহমান আবুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ওই ইউনিয়নের জনগণ। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গণপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গণপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে একাট্টা হয়ে বক্তব্য রাখেন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমির হামজা, সৈয়দ শাহজাহান আহম্মদ, সাইফুল ইসলাম সরকার লিটন, আনোয়ার হোসেন হোসেন রাশেদ, আশরাফুজ্জামান রাসেল। তারা বলেন, আ’লীগের আমরা পাঁচজন প্রার্থী ছিলাম। এরমধ্যে যে কাউকে নৌকা মনোনীত করলে আপত্তি থাকবে না। তবে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমির হামজাকে নৌকা প্রতিক দেওয়ার জোর দাবি উঠে বক্তব্যে।
পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সভা। সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান শামছুর রহমান আবুল জনবিচ্ছিন্ন। পরিষদে না এসে বাড়ির সামনে ভ্রাম্যমান পরিষদ বানিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া এই ইউনিয়ন পরিষদের ৬জন ইউপি সদস্যদের সরকারি বরাদ্দ অন্য ইউপি সদস্যদের বণ্টন করে দেন। এতে এই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা বিপাকে রয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জনগণকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে দিনের পর দিন। প্রতিবাদ করতে গেলে নানাভাবে হুমকি প্রদর্শন করেন। তাই আসন্ন নির্বাচনে শামছুর রহমান আবুলের নৌকার মনোনয়ন বাতিল করে জনগণমুখি ও পরিস্কার মনের মানুষ প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমির হামজাকে নৌকা প্রতিক দেওয়ার জোর দাবি জানান। যদি আমির হামজাকে নৌকা প্রতিক না দেওয়া হয় তাহলে বিপুল ভোটে নৌকা ভরাডুবি হবে এই ইউনিয়নে।
তবে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী শামছুর রহমান আবুল বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তাতেও লাভ হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নৌকা নিয়ে এবার বিপুল ভোটে জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। জয়ীর পর আমার অসমাপ্ত কিছু কাজ সমাপ্ত করবো।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নকলা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এর আগে ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৪ নভেম্বর মনোনয়ন বাছাই, ১১ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহার।