শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভার জালালপুর এলাকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত ৮ টি পরিবারের বসতঘর, নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গিয়ে নিঃস্ব হওয়ার উপক্রম তারা। ঘটনার সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য সহায়তা নিয়ে হাজির হন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এর মাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টার ব্যবধানে প্রতি পরিবারের জন্য ৫ হাজার করে টাকা, ৩০ কেজি করে জিআর চাল ও ২টি করে কম্বল নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রয়োজনীয় পোশাক উপহার হিসেবে তুলেদেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের ধারনা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তারা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে নকলা বিদ্যুৎ অফিসে মোবাইলের মাধ্যমে জানালে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করা হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে আসতে বিলম্ব করায় বিক্ষোব্ধ জনতা ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে আসে বলে ক্ষতিহগ্রস্থ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন।
প্রায় দেড়যুগ আগে নকলায় স্থাপিত প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রটি চালু থাকলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হতো না এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা। তাই স্থানীয়দের দাবী অতিদ্রুত নকলা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের বাকি কাজটুকু সম্পূর্ণ করে জনকল্যাণে ব্যবহার উপযোগী করা হোক।