শেরপুরের নকলায় আদালতের নির্দেশে দাফনের ২৩ দিন পর কবর থেকে মফিজ উদ্দিন (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম চিথলিয়ার সার্বজনীন কবরস্থান থেকে ওই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফের উপস্থিতিতে মরদেহ তুলে তা ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে শেরপুর সিআর আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম চিথলিয়ার নূর উদ্দিনের পুত্র নূর আলম (৩২), লোকমান (২৭), মৃত আফছর আলীর পুত্র লাল মিয়া (৫০), মৃত জমসেদ আলীর পুত্র নূর উদ্দিন (৬০) ও মৃত লাল মিয়ার পুত্র রাশেদ মিয়া (২৮)।
নিহতের স্ত্রী শিউলী আক্তার ও পুলিশ জানান, গেল বছরের ২৫ নভেম্বর সকালে উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম চিথলিয়ার নূর উদ্দিনের পুত্র নূর আলম ও লাল মিয়া গংদের সাথে মফিজ উদ্দিনের পারিবারিক কলহ ও জমির সীমানা নিয়ে দ্বন্দে আহত হন মফিজ মিয়া। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মফিজ মিয়াকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করনে। একটু সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে চলে আসলে ২৯ ফেব্রæয়ারি নিজ বাড়িতে মারা যান মফিজ মিয়া। পরে শিউলী আক্তার শেরপুর সিআর আমলী আদালতে ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ওইদিনই আদালত নকলা থানার ওসিকে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে ১১ মার্চ থানায় মামলটি রুজু করা হয়।
মামলাটির সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে গত ১৩ মার্চ শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মফিজ মিয়ার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবরস্থান থেকে উত্তোলনের অনুমতি চান মামলটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নকলা থানার এসআই আশরাউল ইসলাম। জেলা প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন।
এ ব্যপারে নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, নিহত মফিজ মিয়ার স্ত্রী শিউলী আক্তার তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শেরপুর সিআর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি রুজু করে কবর থেকে মরদেহ তোলার নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ তুলে শেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।