শেরপুরের নকলায় ঈদ উপলক্ষে শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে আত্মহত্যা করলেন মেয়ের জামাই আব্দুল রহিম (৪০)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত অনুমান ৩টার দিকে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রহিম নকলা পৌরসভাধীন মৃত হাবিল মিয়ার পুত্র। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয়সূত্র ও পুলিশ জানায়, আব্দুল রহিম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। ঢাকায় ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির গাড়ী চালাত। ৫ মাস পূর্বে স্ট্রোক করার কারনে সে আর গাড়ী চালায় না। স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা শহরের চেরাগআলীতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী নাছিমা বেগম পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পুরো সংসার চালায়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সবাই। নাছিমা চলে যায় বাপের বাড়ি পাঠাকাটার নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এবং আব্দুল রহিম চলে যায় নিজের বাড়ি জালালপুর গ্রামে। ঈদের দিন অনুমান রাত ১২টার দিকে রহিম শ্বশুরবাড়ি নামাকৈয়াকুড়ীতে বেড়াতে যায়। শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ২টা থেকে ৩টার দিকে সবার অগোচরে শ্বশুর বাড়ির পাশে কড়ইগাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপরে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় আমরা রবিবার ভোররাতে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রাম থেকে আব্দুল রহিম এর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরুতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।