আজ- মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শেরপুর টাইমস
Trulli
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
শেরপুর টাইমস
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ জাতীয় খবর

ধর্মের নামে মানুষ হত্যাই ‘জিহাদ’ নয়

টাইমস ডেস্ক প্রকাশ করেছেন- টাইমস ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বিভাগ- জাতীয় খবর, নির্বাচিত খবর
অ- অ+
4
শেয়ার
139
দেখা হয়েছে
Share on FacebookShare on Twitter
প্রিন্ট করুন

ইসলামের ইতিহাসে জেহাদ এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরআন ও হাদিসের নানা স্থানে জিহাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই জিহাদের ভুল ব্যাখ্যা করে থাকি। অনেকে মনে করে, জিহাদের অর্থ মারামারি, খুনাখুনি ও রক্তারক্তি। এছাড়া তারা জিহাদের আর কোনো অর্থই খুঁজে পান না।

অথচ জিহাদ ব্যতীত পার্থিব ও পারলৌকিক কোনো জিনিসই টিকে থাকতে পারে না।

জিহাদের আভিধানিক অর্থ উদ্দেশ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে বারবার চেষ্টা করা, কষ্ট করা, এবং শক্তি ব্যয় করা। ইসলামের পরিভাষা অনুযায়ী এর অর্থ আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দীনের কর্তব্য পালন করতে বারবার চেষ্টা করা, কষ্ট করা এবং জানমাল, এক কথায় সর্বশক্তি ব্যয় করা।

(ক) দ্বীনের জন্য চেষ্টা ফিকির:
চেষ্টা ব্যতিত সাধারণতঃ কোনো উদ্দেশ্যই সাধিত হয় না। নবীয়ে আকরাম এবং সাহাবায়ে কেরাম  ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে কিরূপ চেষ্টা করতেন তা কারো নিকট অবিদিত নয়। আল্লাহ তায়ালা হজরতের শানে বলেছেন, ‘তোমাদের নবী তোমাদেরকে হিদায়াত করার জন্য অত্যন্ত আগ্রহশীল।’ ইসলামের ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, আম্বিয়ায়ে কেরামকে ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে বহু বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বারবার তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। কিন্তু তাতেও তারা কাজ বন্ধ করেননি বরং পূর্ণ উদ্যমের সঙ্গে চেষ্টার পর চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ধনশর্যের মোহ, যশখ্যাতির লোভ এবং রাজত্বের লিপ্সা এক কথায় দুনিয়ার কোনো জিনিসই তাদেরকে এই চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে পারতো না। ইসলামের ইতিহাসে আছে, মক্কা শরফের কাফেরগণ যখন হজরতকে কোনো উপায়েই তাবলিগে দ্বীন থেকে বিরত রাখতে পারল না, তখন তারা পরামর্শ করে তাদের একজন সরদারকে হজরতের খেদমতে পাঠিয়ে দিলো। উক্ত সরদার হজরতের খেদমতে হাজির হয়ে আরজ করল, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কী চান? তা প্রকশ করুন। আপনি  যদি  ধনৈশর্যের প্রত্যাশী হয়ে তাহলে বলুন, আমরা আমাদের সকল ধন-সম্পত্তি আপনার পায়ে ঢেলে দিব। আপনি যদি সাম্রাজ্য লাভের আকাঙ্খী হয়ে থাকেন, তবে হুকুম  দিন, আমরা  আরবের  সকল রাজ্য দখল করে আপনাকে বাদশা  বানিয়ে  দিই । আর  যদি  কোনো সুন্দরি রমণীর প্রেমে অকৃষ্ট হয়ে থাকেন, তবে আদেশ করুন আমরা যেভাবেই হোক উক্ত রমণীকে আপনার খেদমতে উপস্থিত করি। তবে আপনি আমাদের বাপ-দাদার ধর্মের বিরোধিতা বন্ধ করুন আপনি যে নতুন দ্বীনের তাবলিগ করছেন তা ছেড়ে দিন।

Advertisements

হজরত জওয়াব দিলেন ‘আপনি আমাকে যে সকল  জিনিস দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তা  তো সামান্য জিনিসি। আপনি যদি আমাকে এক হাতে সূর্য অপর হাতে চন্দ্রও দান করেন, তবুও আমি আমার কর্তব্য কাজ বন্ধ করতে পারব না।’ তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য থেকে বিন্দুমাত্রও পশ্চাদপদ হব না। তা শুনে কাফেরদের সরদার নিরাশ হয়ে চলে যায়। সাহাবায়ে কেরামের অবস্থাও ঠিক এরূপ ছিল। আল্লাহ তায়ালা তার শানে বলেছেন, ‘তারা এমন লোক যে, যদি আমি তাদের পৃথিবীর অধিকারী করে দিই (তবে তা তাদেরকে তাদের কর্তব্য পালনে শিথিল করতে পারে না বরং) তারা ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করাতে থাকবে।

পূর্ব জামানায় মুসলমানগণ প্রত্যেকেই তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালনের  লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। ব্যবসায়ীগণ ব্যবসায় বাণিজ্যের উসিলায় দেশ বিদেশে তাবলিগে দ্বীন করে বেড়াতেন। মুজাহিদরা দেশের পর দেশ জয় করে তাবলিগের খেদমত আঞ্জাম দিতেন। হজরত উকাবা ইবনে  আমের (রা.) যখন সমগ্র আফ্রিকা দেশ জয় করে আটলান্টিক  মহাসাগরের তীরে পৌঁছিলেন, তিনি তার ঘোড়া সাগরে ধাবমান করে খোদাওয়ান্দে কারিমের দরবারে হাত উঠিয়ে বলতে থাকেন, ‘আয় আল্লাহ! এই বিশাল সমুদ্রের বিপুল পানিরাশি যদি আমার সামনে চলাচলের পথ অবরুদ্ধ না করত, তা হলে আমি তোমার দ্বীনের তাবলিগ করতে করতে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌঁছতাম।’

(খ) দ্বীনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা:
জিহাদের  দ্বিতীয় অর্থ কষ্ট করা। চেষ্টা করা। কাজেই যারা ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের লক্ষ্যে চেষ্টা করেন, তাদেরকে নানান প্রকার শারীরিক ও মানসিক কষ্ট ভোগ করতে হয়। আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং পূর্ববর্তীরা যারা প্রকৃত মুসলমান ছিলেন এবং মুসলমান হিসেবে ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন, তাদের পবিত্র জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় যে, তারা প্রত্যেকেই জীবনে অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন। কে কেউ বা নানা প্রকার অত্যাচার ও নির্যাতন ভোগ করেছেন, কেউবা করাত দ্বারা দ্বিধা-বিভক্ত হয়েছেন। কেউ বা নিক্ষেপিত প্রস্তরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত ও জর্জরিত হয়েছেন আজীবন। কেউ বা দেশ থেকে বিতাড়িত  হয়েছেন, আবার  অন্যায়ভাবে নিহত হয়েছেন। নবীয়ে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামগণ এই মহান কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আজীবন কত যে দুঃখ, কষ্ট, ও লাঞ্ছনা ভোগ করেছেন। তা স্মরণ করলে শরীর শিহরিত হয়ে উঠে। শা’বে আবু তালেব, তায়েফ, জঙ্গে উহুদ প্রভৃতি ঘটনা স্মরণ করলে অশ্রু সংবরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। হজরত আবু বকর (রা.) থেকে আরম্ভ করে হজরত বিলাল (রা.) ও খুবায়েব (রা.), আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) এবং জায়েদ ইবনে দাসেনাহ (রা.) প্রমূখ সাহাবাগণ জীবনে যে অসহনীয় নির্যাতন ও নিষ্পেশন ভোগ করেছেন তা হৃদয়পথে উদিত হলে পাষাণ হৃদয় পর্যন্ত বিগলিত হয়ে যায়। এখানে প্রশ্ন হতে পারে যে, ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে মুসলমানদেরকে এইভাবে কষ্ট স্বীকার করতে হয় কেন? আল্লাহপাকের মর্জি হলে তো বিনা কষ্টেও এ কাজ তাদের দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে। এ প্রশ্নের উত্তর এই যে, আগুনে পুড়ালে স্বর্ণ পরীক্ষা হয় তা খাঁটি না খোটা; তদ্রুপ আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে দুঃখ কষ্টের আগুনে নিপাতিত করে পরীক্ষা করে দেখেন যে তারা খাঁটি না মেকি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুসলমানগণ! তোমরা কী মনে করো যে, তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীনের জন্য জিহাদ করেছে এবং দুঃখ কষ্টে ধৈর্য্য ধারণ করেছে আল্লাহ তায়ালা তা পরিজ্ঞাত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করিবে?

এতদ্ব্যতীত কারো মাথায় কোনো গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার আগে তাকে পরীক্ষা করে দেখা হয়, সে তা বহন করার উপযুক্ত কীনা। এটা একটি সাধারণ নিয়ম। এজন্যই আমরা দেখতে পাই যে, যে কোনো দেশের সরকার কাউকে কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করার পূর্বে তার জন্য কঠোর ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেন। ট্রেনিং এর সময় পদপ্রার্থীকে নানা প্রকার দুঃখ কষ্ট ভোগ করতে হয়। ট্রেনিং এ উত্তীর্ণ হতে পারলে প্রার্থীর পদোন্নতি হয় এবং অধিকতর সম্মান লাভের অধিকারী হয়। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদেও কাঁধে ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দীনের দ্বারা খোদায়ী হুকুমত কায়েম করে দুনিয়ায় প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। মুসলমানরা যাতে এ মহান দায়িত্ব বহন করতে সমর্থ হয়। এজন্য আল্লাহ তায়ালা প্রথমাবস্থায় নানা প্রকার দুঃখ কষ্টে নিপাতিত করে পরীক্ষা করে থাকেন। যারা এ পরীক্ষায় টিকে যায় তারা আল্লাহ পাকের অসিম রহমত ও অনুগ্রহ লাভের অধিকারী হয় এবং দুনিয়া ও আখেরাতের প্রকৃত শান্তি উন্নতি ও সম্মান লাভে সমর্থ হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি নিশ্চই তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করে, ক্ষুধার্ত করে ধন সম্পদ বিনষ্ট করে, জীবন নাশ করে, এবং ফল ফুল শষ্যাদি ও সন্তান ধংস করে পরীক্ষা করে দেখব। এই পরীক্ষায় যারা ধৈর্য ধারণ করতঃ বলে যে, আমরা সকলই আল্লাহর এবং আমরা সকলই আল্লাহর নিকট প্রত্যাবর্তনকারী তাদেরকে সুসংবাদ দিন। তাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও অনুগ্রহ বর্ষিত হয় এবং তারাই সঠিক পথপ্রাপ্ত হয়।’

মোটকথা, ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে আমাদের প্রথমাবস্থায় নানা প্রকার কষ্ট স্বীকার করতে হবে, এমন কী কোনো কোনো অবস্থায় এই কর্তব্য পালন করা যুদ্ধের সময় ময়দানে নিহত হওয়ার চেয়েও কষ্ট বলে বোধ হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন আমার উম্মতের অবস্থা পরিবর্তন হবে, সেই সময় যারা আমার তরিকাকে আঁকড়ে ধরে থাকবে তারা প্রত্যেকে একশত শহিদের সওয়ার অর্জন করবে।’ অন্য এক হাদিস শরিফে আছে, ‘এমন এক জামানা উপস্থিত হবে যখন মুসলমানদের পক্ষে ঈমান ও ইসলামের ওপর কায়েম থাকা মুঠার মধ্যে জ্বলন্ত কয়লা চেপে ধরে রাখার চেয়েও কষ্টকরবোধ হবে।’

ভোগী, বিলাসী ও আরামপ্রিয় লোক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে না। অথচ, দুঃখ, কষ্ট সহ্য করা ব্যতিত ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দীনের কর্তব্য পালন এবং দুনিয়ায় খোদায়ি হুকুম কায়েম করা সম্ভপর হয় না। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের জন্য আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের যাবতীয় আবশ্যকীয় উপকরণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। হজরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ‘যাবতীয় আমোদ-প্রমোদ হারাম।’
ইসলামের ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, যতদিন মুসলমানরা আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করতে ও সর্বপ্রকার দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত ছিলেন, যতদিন তারা এই উদ্দেশ্যে ভোগ-বিলাসহীন কঠোর অনাড়ম্বর মুজাহিদীনা জিন্দেগী যাপন করতে অভ্যস্ত ছিলেন, ততদিন তারা ছিলেন বিশ্বে অপরাজেয় এবং সর্বোন্নত জাতি। আর যেদিন থেকে তারা এই জিহাদ বর্জন করে ভোগী, বিলাসী, আরামপ্রিয় ও কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছে, ঠিক তখন থেকেই তাদের ভাগ্য বিপর্যয় আরম্ভ হয়।

(গ) দ্বীনের জন্য শক্তি ব্যয়:
জিহাদের তৃতীয় অর্থ শক্তি ব্যয় করা। ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করার নিমিত্ত প্রত্যেক মুসলমানের সর্ব শক্তি ব্যয় করতে হবে। কেননা মুমিনদের দুই প্রকার দুশমন রয়েছে: এক. বাতেনি দুশমন যথা শয়তান ও নফসে আম্মারা। দুই. জাহিরি দুশমন যথা কাফেরীন, মুনাফিকীন, মুশরিকিন। তারা চায় মানুষ যেন ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করে আল্লাহপাকের জিন্দেগি লাভ করতে না পারে। কাজেই তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে ইকামতে দ্বীন ও তাবলিগে দ্বীনের কর্তব্য পালন করার জন্য প্রত্যেক মুসলমানকে আত্মিক, দৈহিক, আর্থিক এক কথায় সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘কেবল মুমিন ওই সকল লোক যারা আল্লাহর ও তদ্বীয় রাসূলের ওপর নিঃসন্ধিগ্ন চিত্তে ঈমান আনে এবং জান-মাল এক কথায় সর্ব শক্তি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।’

সুতরাং এখন আমাদেরকে চিন্তা করে দেখতে হবে, বিদ্যা, বুদ্ধি, কবিত্ব ও বাগ্মিতা আমাদেরকে কে দান করেছেন? আমাদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক শক্তি কে দিয়েছেন? এবং তার প্রকৃত মালিক কে? আমাদের জীবন কে দিয়েছেন? এ প্রকৃত মালিক কে? আমরা না অন্য কেউ? এই সকল প্রশ্নের একমাত্র জওয়াব এই যে, এই সকল জিনিসের প্রকৃত মালিক আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ওই সকল শক্তি আমাদের এই জন্য দান করেছেন যেন আমরা তাকে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অনুযায়ী ব্যয় করি। আল্লাহ তায়লা বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের নিকট থেকে বেহেশতের বিনিময়ে তাদের জানমাল ক্রয় করেছেন।’

যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দান করে তাদের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন দান করেছে তোমরা তাদেরকে মৃত বলে ধারণা কর না। বরং তারা জীবিত। যদিও তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না।’ যারা আল্লাহর রাস্তায় আর্থিক শক্তি ব্যয় করে, তাদের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ করে তাদের দৃষ্টান্ত এনরূপ যেমন একটি বীজ থেকে সাতটি শিষ বের হয় এবং প্রত্যেকটি শিষে সাতটি করে দানা থাকে।’ অর্থাৎ একের বদলে আল্লাহ তায়ালা সাত শত নেকি দেবেন। এমনকী নিয়তের তারতম্য হিসেবে আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা (সাত শতেরও) অধিক সওয়াব দান করবেন।’

আল্লাহর রাস্তায় শক্তি ব্যয়কারীগণ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত:
১ম শ্রেণি: যারা সমুদয় মাল ও ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে। নিজেদের জন্য মোটেও রাখে না। হজরত আবু বকর (রা.) এর দান এই ব্যাপারে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একদিন তিনি তার সকল সম্পদ হজরতের দরবারে হাজির করলেন। হজরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবু বকর! আপনি নিজের পরিবারের জন্য কী রেখে এসেছেন? হজরত আবু বকর (রা.) উত্তর দিলেন, তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে রেখে এসেছি।

২য় শ্রেণি: যারা সমুদয় সম্পত্তি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে না সত্য, কিন্তু কেবলমাত্র ফরজ জাকাত আদায় করে ক্ষান্ত থাকে না বরং নিজেদের খাওয়া খরচ সেরে সর্বদাই তারা ধন সম্পদ দুঃখীদের দুঃখ মোচনে সাহায্য এবং হিদায়েতের কাজে অকাতরে ব্যয় করে থাকে।

৩য় শেণি: যারা মাত্র জাকাত আদায় করেই ক্ষান্ত থাকেন, কিন্তু অতিরিক্ত দান খয়রাত করেন না।
এই তিন শ্রেণির দানের মধ্যে যেমন পার্থক্য, তাদের আল্লাহ প্রেমের মধ্যেও ঠিক তেমন পার্থক্য মনে করতে হবে। আল্লাহর রাস্তায় আর্থিক জিহাদ বন্ধ করার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তায়লা বলেন, ‘তোমারা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করো। আল্লাহর রাস্তায় জান মাল খরচ করার জিহাদ বন্ধ করে নিজেদেরেকে ধংসের মুখে ঠেলে দিও না।’ যার আর্থিক শক্তি আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, আল্লাহ তায়ালা তাদের ভয়াবহ পরিণাম সম্বন্ধে বলেছেন, ‘যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে না, তাদেরকে ওই দিনের ভীষণ আজাবের সংবাদ দাও, সেদিন তাদের সঞ্চিত স্বর্ণ, রুপা দোজখের আজাবে গরম করা হবে এবং তা দ্বারা (সঞ্চয়কারীর) কপালে, পার্শ্বে ও পিঠে দাগ দেয়া হবে এবং বলা হবে যে, যে স্বর্ণ রুপা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে তা এই। এখন সেই সঞ্চিত অর্থে স্বাদ গ্রহণ করো।’ এই প্রকারে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যত প্রকার শক্তি দান করেছেন, তা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় না করে থাকলে সে জন্য কিয়মতে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। শক্তি ব্যয় করতে হলে শক্তি অর্জন করা দরকার। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর এবং তোমাদের দুশমনদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রকার শক্তি (অর্জন কর) এবং যুদ্ধের সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করো।’

Share2Tweet1
আগের খবর

জাতিসংঘে এবার চার প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

পরবর্তী খবর

ঈমানি জীবন-যাপন ও মৃত্যু লাভের ৬ আমল

এই রকম আরো খবর

দেশের আইনের ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি আছে : প্রধান বিচারপতি
জাতীয় খবর

দেশের আইনের ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি আছে : প্রধান বিচারপতি

৩ অক্টোবর, ২০২৩
যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় খবর

যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

৩ অক্টোবর, ২০২৩
সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল মেঘালয়
জাতীয় খবর

সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল মেঘালয়

২ অক্টোবর, ২০২৩
ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
জেলার খবর

ঝিনাইগাতীতে নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

২ অক্টোবর, ২০২৩
শেরপুর ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ময়মনসিংহ নারী দলের বিশাল জয়
খেলার খবর

শেরপুর ভেন্যুতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ময়মনসিংহ নারী দলের বিশাল জয়

১ অক্টোবর, ২০২৩
শেরপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত
জেলার খবর

শেরপুরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত

১ অক্টোবর, ২০২৩
আরও দেখুন
পরবর্তী খবর
ঈমানি জীবন-যাপন ও মৃত্যু লাভের ৬ আমল

ঈমানি জীবন-যাপন ও মৃত্যু লাভের ৬ আমল

পূজায় ভারতকে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ দেবে বাংলাদেশ

পূজায় ভারতকে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ দেবে বাংলাদেশ

কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বললেন ট্রাম্প

কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে বললেন ট্রাম্প

আরও বিভাগ দেখুন

এই রকম আরও খবর

ঝিনাইগাতীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জরিমানা আদায়

ঝিনাইগাতীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জরিমানা আদায়

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেস্ট হতে হবে: জেলা প্রশাসক খায়রুম

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেস্ট হতে হবে: জেলা প্রশাসক খায়রুম

৩০ জুলাই, ২০২৩
নালিতাবাড়ীতে স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত

নালিতাবাড়ীতে স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপিত

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সুস্থতার পথে খাইরুন সুন্দরীর অভিনেতা মুকুল তালুকদার

সুস্থতার পথে খাইরুন সুন্দরীর অভিনেতা মুকুল তালুকদার

৫ মে, ২০১৭
ঘর থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ দূর করবেন যেভাবে

ঘর থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ দূর করবেন যেভাবে

১২ জুলাই, ২০২২
শেরপুর টাইমস

প্রকাশক : আনিসুর রহমান, সম্পাদক : এস এ শাহরিয়ার মিল্টন, বার্তা সম্পাদক : এম. সুরুজ্জামান। খরমপুর, শেরপুর শহর, শেরপুর হতে টাইমস্ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত।

যোগাযোগ : 01711-664217 (সম্পাদক), 01740-588988 (নির্বাহী সম্পাদক), 01712-478862 (বার্তা সম্পাদক)। ইমেইল : news@sherpurtimes.com

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.

error: ঘোষণা: কপি হবেনা যে !!