এই প্রথম একই রঙের পাঞ্জাবি পড়ে ঈদ আনন্দে সামিল হলো চাঁদপুর কর্মরত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। জেলায় প্রায় দেড় হাজার পুলিশ সদস্য স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে শুধু ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেওয়া নয়, পরে তারা পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেন এই পাঞ্জাবি পড়ে। এতে বাদ পড়েননি নারী পুলিশ সদস্যরাও। ঠিক একই রঙের শাড়ি পড়েন শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য।
মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
তিনি যে রঙের পাঞ্জাবি পড়েছিলেন। ঠিক একই রঙের পাঞ্জাবি পড়ে তাতে অংশ নেন অন্য পুলিশ সদস্য এবং কর্মকর্তারাও।
পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চাঁদপুরের আট থানা, বেশ কয়েকটি তদন্ত কেন্দ্র ও ফাঁড়ি, পুলিশ সুপার কার্যালয়, সিআইডি এবং গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও সেই একই রঙের পাঞ্জাবি পড়েন। নারী পুলিশ সদস্যদেরও দেওয়া হয় ঠিক একই রঙের শাড়ি।
এই বিষয় জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পেশাগত পোশাকের বাইরে এসে বিশেষ এই দিনটিতে অনন্ত সবাই যেনো আলাদা আরেকটি রঙের পোশাক (পাঞ্জাবি) পড়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি তার জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার- তবে উৎসব সবার। এমন শ্লোগান নিয়ে সহকর্মীদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব দিয়ে ব্যতিক্রম এই প্রচেষ্টা।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এমন উদ্যোগ নেন জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
বিষয়টিকে অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের অনেকেই। শুভসংঘ, চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান বলেন, এমন সুন্দর মানসিকতা থাকলে আরো অনেকেই তাদের দফতরগুলোতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। যেমনটি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।