আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী মন্তব্য করে বলেছেন দেশে সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে, আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন স্বপ্ন দেখেছেন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক দেশ। তাই জাতির পিতা আমাদের সংবিধানের চার স্তম্ভের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে স্থান দিয়েছিলেন। ধর্ম নিরপক্ষেতা মানে সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা দেখানো।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
এসময় উপনেতা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা ইতিহাসের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাষ্ট্রের জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যা করে সেই হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে। আজকে যারা গনতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে ছবক দেন তারা সেদিন কোথায় ছিলেন। শুধু তাই নয়, হাজারো মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। তাদের পরিবার আজও প্রিয় স্বজনদের হদিস পাননি। তখনকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। মানবাধিকার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার আগে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের বর্ষীযান এ নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই দেশ ডিজিটাল হয়। শেখ হাসিনাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাতে পারেন। অন্য কেউ নয়। বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনাই সবচেয়ে সৎ, আদর্শবান নেতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মানাবাধিকারে বিশ^াস করেন বলেই প্রধানমন্ত্রী ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করার আগে এসব ভাবা উচিৎ। পরে উপনেতা নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান, রূপনারায়ণকুড়া, নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন, কাঁকরকান্দি ও রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
বিতরণ অনুষ্ঠানে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম, নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মতিয়া চৌধুরী উরফা ইউনিয়নে ১ হাজার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, মেধাবী শিক্ষার্থীকে ঈদ উপহার দেন। এরমধ্যে ২৫০ জন হতদরিদ্র নারীকে একটি করে শাড়ী, ৩০০ জন যুবককে শার্ট, ট্রাউজার ও টি-শার্ট এবং দ্বিতীয়, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর ৮০ জনকে থ্রি-পিছ, সিনথেটিক শাড়ী এবং ৩৭০ জন মেধাবী টপ ২০ ও টপ টেন শিক্ষার্থীকে নগদ ১ হাজার করে টাকা প্রদান করেন।