সরকার দেশে ‘ফেরাউনের রাজত্ব’ কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এ সময় রিজভী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলা মাত্রই রক্ত ঝরানো হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষদের। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠী এখন শেখ হাসিনার বুলেটের টার্গেট। মূলত দেশে গণতন্ত্র এখন মৃত। বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা আওয়ামী লীগের নিজস্ব শৈলী। তিনি (শেখ হাসিনা) যে ফেরাউনের রাজত্ব কায়েম করেছেন, তার (সরকার) পতন হবেই।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থ রক্ষা না করে শেখ হাসিনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আজকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন এবং এই আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য নেতা-কর্মীর যে আত্মদান, তাঁদের যে রক্তদান এটাকে উপেক্ষা করে কমিশন একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশের সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিদেশি কূটনীতিকদের আবেদন অগ্রাহ্য করে তিনি শুধুমাত্র একনায়ক, গণতন্ত্র বিরোধী ও ভোটারবিহীন সরকার প্রধানের কথা শুনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন।’
আওয়ামী লীগকে এখন শনির দশায় পেয়েছে—এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘জনসমর্থনে তাঁদের হাল শূন্যের কোঠায়। ওরা শুধু ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে রক্তের তাণ্ডব শুরু করেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা পাইকারিভাবে গ্রেপ্তারের শিকার। তাদের ধরতে না পারলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বাবা, শ্বশুর, ছোট ভাই এমনকি বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাসার গেট ভেঙে, তালা ভেঙে ও জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকছে। তল্লাশির নামে পুলিশ গ্রামের পর গ্রাম বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ির সব ঘর তছনছ করে দিচ্ছে। বাবার মৃত্যুতে জামিন মেলেনি কারাগারে আটক ছাত্রদল নেতার। ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে বাবাকে হত্যা করেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। প্রতিদিনের চিত্র এটি।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্যরা উসকে দিচ্ছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৯৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৬৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে।’