বাঙালির গৌরবময় মাস ডিসেম্বর।বীর বাঙালির রক্তে ভেজার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় লাল সবুজের পতাকা। আর বিজয়ের এই মাসে স্বাধীন দেশের লাল-সবুজের পাতাকা উড়েছিলো। জাতীয় পতাকা আমাদের গৌরবের প্রতীক। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বিজয়ের ৫০ বছরকে সামনে রেখে পাড়া-মহল্লা ও স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতাদের হাঁকডাক বেড়েছে।
পতাকা বিক্রির আমেজ চলবে বিজয় দিবস পর্যন্ত। ডিসেম্বর মাস আসতেই বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, রিকশায়, সাইকেলের সামনে দোলে লাল-সবুজের পতাকা। এ মাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করেন মৌসুমী বিক্রেতারা।
শেরপুর পৌর শহরের নিউমার্কেটে সুমন মিয়া ( ২৬ বছর) নামের তরুণ পতাকা ফেরি করে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে পতাকা হাতে বেরিয়ে নয়ানী বাজার, খরমপুর, কলেজমোড়, থানার মোড় ফেরি করেন তিনি।
সুমনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের বালিয়াতে। সব সময় নয়, ডিসেম্বর মাস এলেই পতাকা বিক্রি করেন তিনি।
প্রতি পতাকা আকারভেদে ২০ টাকা থেকে শুরু। তার কাছে ছোট-বড় পতাকা থেকে শুরু করে মাথার ব্যান্ডেনা ও হাতের লাল-সবুজের ব্রেসলেটও আছে।
শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে নয়, বরং মনের টানে দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে প্রতিবছর বিজয়ের মাস এলে পতাকা বিক্রি করেন সুমন।
জাতীয় পতাকা কিনতে আসা শিক্ষার্থী আদনান, সাইমুন আল নিশাদ, রূহানী, জেরিন বলেন, বিজয়ের মাস তাই পতাকা কিনেছি। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে এই পতাকা আমরা বুকে ধারণ করে রাখতে চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আক্তারুজ্জামান বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। লাখো প্রাণের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা এসেছে। শুধু এই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে মনে রাখলে সেটা হবে না। লাখো শহীদদের রক্তে অর্জন করা এই বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।