সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এ শহরকে স্বাতন্ত্র্য করেছে। এ কারখানা অনেক প্রাচীন হওয়ায় অনেক পুরোনো যন্ত্রপাতি, ঐতিহ্য এখানে রয়েছে। যা পর্যটন অকৃষ্ট করতে পারে। বিদেশিরাও আসতে পারেন এখানে। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। কথাগুলো বলছিলেন ভ্রমণকন্যা’ এলিজা বিনতে এলাহী।
এলিজা ২৩ আগস্ট নীলফামারীর রেলওয়ে শহর সৈয়দপুর ভ্রমণে আসেন। তিন দিনের সফরে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাসহ এ শহরে অবস্থিত রেলের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন তিনি।
সৈয়দপুরে রেলওয়ে জাদুঘর স্থাপনে গুরুত্বারোপ করে এলিজা বলেন, দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে সেভাবে কেউ কাজ করছে না। রেলওয়ে অনেক বড় একটি সম্ভাবনা। পর্যটনশিল্পে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ১৮৬২ সালে বাংলাদেশে রেল এসেছে। এ সময় অনেক উন্নত দেশ রেলওয়ে কী, তা জানত না। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্ম ১৮৭০ সালে। ১৯৪৭ সালে নির্মিত একটি প্রেসিডেন্ট সেলুন আছে সৈয়দপুর কারখানায়, যা দেখে তিনি চমৎকৃত হয়েছেন।
এই ভ্রমনকন্যা এলিজা একাধারে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ ঘুরে দেখেছেন। দেশের প্রায় সবকটি জেলায় ভ্রমণ করেছেন। এসব নিয়ে ইংরেজি ভাষায় দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। পুনরায় তিনি ‘কোয়েস্ট: আ হেরিটেজ জার্নি’ প্রকল্পের আওতায় ‘সিজন টু’ নামে ভ্রমণ শুরু করেছেন।