জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাঘারচর গ্রামের একটি পুকুরে দুর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগে মৎস্য নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকবিতণ্ডা ও মারামারির জের ধরে শত্রুতার বসে এই বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
সরজমিনে পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠা অসংখ্য মৃত মাছ দেখা যায়। পুকুরটির আয়তন ছোট হলেও দেশিয় জাতের পর্যাপ্ত ভেসে ওঠা মৃত মাছ চোখে পড়ে।
জানা যায়, উপজেলার বাঘারচর বাজার সংলগ্ন মৃত ইমান আলীর ছেলে শেখ শহিদ দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির উত্তর পাশে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া পুকুরে ভোগদখল নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। এ বছরও তিনি বন্যার পরে ওই পুকুরে মাছের পোনা বপন করেন। রাতের আঁধারে কে-বা কারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে।পরে বিষের বিক্রিয়াই দেশিয় জাতের সব মাছ মরে ভেসে উঠে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি শেখ শহীদ বলেন, গত ৩ অক্টোবর পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা ও এক পর্যায়ে মারামারি হয়। মারামারিতে উভয় পক্ষের দুজন আহত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি বলেন, এ ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে তারা দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দিলে আমরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি থেকে লুকিয়ে পরি। আর এই সুযোগে রাতের আধারে প্রতিপক্ষ মাছ নিধনের উদ্দেশ্যে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। বিষ প্রয়োগের কারণে পুকুরের সব মাছ মরে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন করা হয়েছে। রাতের আধারে কে-বা কারা এই বিষ প্রয়োগ করেছে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে শেখ শহিদের পক্ষের সাথে ওই পুকুরে মাছ মারা নিয়ে একই গ্রামের একটি গ্রুপের বাকবিতণ্ডা ও মারামারির হয়। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্যে চেষ্টাও করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেও এটি হতে পারে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মহব্বত কবীর বলেন, বিষ দিয়ে পুকুরে মৎস্য নিধনের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।