জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক বালু ব্যাবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অবৈধ্য বালু ব্যাবসায়ী দেওয়ান মো. আলালকে এ জরিমানা করা হয়।
গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) বিকালে উপজেলার হলকারচর ফুটানী বাজার এলাকায় যমুনা নদীর পাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) অহনা জিন্নাত।
এভাবে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যমুনা পাড়ের ঐতিয্যবাহী বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। বালু খেকুদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পাড়লে ভবিষ্যতে নদীর পাশের সবকিছু বিলীন হবে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলকারচর ফুটানী বাজার, গুজিমারীসহ অন্যান্য এলাকায় যমুনা নদী থেকে দীর্ঘদিন থেকে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তারা বালু উত্তোলন করে আসছিল। যার কারণে ইতি পূর্বেও ওই বালু মহাল বন্ধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসন। অভিযানে অনেক বালু ব্যবাসায়ীকে জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও থেমে নেই বালু ব্যবসায়ীরা।
সোমবার গোপন সূত্রের ভিত্তিতে হলকারচর ফুটানী বাজার এলাকায় ভাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় বালু ব্যবসায়ী দেওয়ান মো. আলাল ভ্যাকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ভ্রাম্যামান আদালতের কাছে। সে সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহনা জিন্নাত ওই বালু ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং পরবর্তীতে আর নদী থেকে বালু উত্তোলন করবে না মর্মে মুচলেকা নেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহনা জিন্নাত বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন থেকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। মাঝে মাঝেই ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দেওয়ান মো. আলাল নামের ওই অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বালু উত্তোলন করবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।