দার্জিলিং আর টাইগার হিল, দু’টি বরাবরই একে অপরের পরিপূরক। টাইগার হিলে সূর্যোদয় এবং সেই সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার গনগনে রূপ দেখার জন্যই লাখ লাখ পর্যটক দেশ বিদেশ থেকে ছুটে যান দার্জিলিং। এতদিন জায়গাটি কোনো টাকা খরচ করতে হতো না পর্যটকদের। তবে এখন থেকে টাইগার হিলে যেতে প্রত্যেককে ৫০ রুপি দিতে হবে।
টাইগার হিল দশ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সূর্যোদয় দেখতে হাজারও পর্যটক ভোর ৪টা থেকে ছুটে আসতে থাকে টাইগার হিলের দিকে। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা চোখে পড়ার মতো। জায়গাটির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে দার্জিলিংয়ের বনবিভাগ পুরো জায়গাটিতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এন্ট্রি ফি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা এই নিয়মের বিরুদ্ধে। তারা বলছে, দুর্গাপূজার ছুটিতে অনেকে টাইগার হিলে যাওয়ার বুকিং দিয়েছেন। এ কারণে এসব ভ্রমণকারীর এন্ট্রি ফি হিসেবে বাড়তি খরচ বহন করতে হবে ট্যুর অপারেটরদের। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জায়েসপার জে. মনে করেন, গ্রামীণ উন্নয়নে এই পদক্ষেপ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
জানা গেছে, টাইগার হিল সংলগ্ন ৩১ টি বনবস্তি রয়েছে। প্রবেশের টাকার ৪০ শতাংশ পাবে বনবস্তির কমিটি। বাকি অর্থ ব্যবহার হবে ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন ও উন্নয়নের কাজে। সেজন্য টাইগার হিল সংলগ্ন এলাকায় বন দফতর একটি টিকিট কাউন্টারও খুলেছে।