নাঈম ইসলাম : কুয়াশা কম থাকায় এবারের শীত মৌসুমে শেরপুরে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবাহও বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, শুরুর দিকে দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও এখন সরবাহ বাড়ায় দামও কমে গেছে।
সদর উপজেলার কামারেরচর, ডুবারচর, চরশেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি শীতের শুরুতে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকায়। আখের মামুদ বাজারে ফজল মিয়া শিমের দাম হাকাচ্ছিলেন ১০ টাকা কেজি। তিনি বলেন, “দাম কইম্মা গেছে”। গত সপ্তাহেও শিমের দাম ছিল ২০ টাকা কেজি। গাজরের দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা। এখন ২৫-৩০ টাকা। শীতের শুরুতে নতুন আলু ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। করলা ছিল ৫০ টাকা কেজি, এখন ৩০-৩৫ টাকা । ৩০ টাকা কেজির বেগুন ১০ টাকা।
একইভাবে কমেছে শাকের দামও। ৩০ টাকার মুলার আটি ১০ থেকে ১৫ টাকায়, ২০ টাকার লাউশাকের আটি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১ জোড়া লাল শাকের আটি ২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সব কিছুর দাম কইমা গেছে, এহন আর তেমন লাভ হয়না। হের পরও মাইনষে কয় দাম বেশি ক্যান’ ।
শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা ফারজানা আক্তার বলেন, সবজির দাম কিছুটা কমেছে । এই সময়ে তার খাবারের মেন্যুতে প্রতিদিন শাক-সবজি বেশি বেশি রাখেন।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে ইরি আবাদ পুরোদমে শুরু হলে সবজির দাম কিছুটা বাড়বে।