করোনাভাইরাসের নতুন ধরন প্রতিরোধে আশাব্যঞ্জক ফল না পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। টিকার কার্যকারিতা পরিক্ষা শেষে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। নতুন ধরনের ওপর টিকার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণায় দেশটির দুই হাজার ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাতে দেখা যায়, টিকা করোনার মৃদু ও মাঝারি ধরনের উপসর্গের ক্ষেত্রে সামান্য সুরক্ষা দিতে পারে।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি মেখিজ বলেন, গবেষণায় পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আরও কতটা কার্যকর করা যায়, সে জন্য সরকার অপেক্ষা করবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে সরকার জনসন অ্যান্ড জনসন ও ফাইজারের টিকা সরবরাহ করবে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক সাবির মাধি। তিনি এক ব্রিফিংয়ে জানান, হালকা ও মাঝারি অসুস্থতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কার্যকর হচ্ছে না। তিনি বলেন, গবেষণায় আরও গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী সবার বয়স ছিল গড়ে ৩১ বছর। গুরুতর লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
অক্সফোর্ডের টিকার গবেষক অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, তাদের টিকা জটিল উপসর্গের ক্ষেত্রে রোগ থেকে সুরক্ষা দেবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন ধরনের করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে এমন টিকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন গবেষকেরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজন পড়লে কয়েক সপ্তাহ ও কয়েক মাস ধরে টিকা নতুনভাবে উন্নয়ন করা হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকা এসে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল। এর আগে এক গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, মডার্নার টিকা দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর। সে সময় অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে তাদের টিকা কার্যকর।