তেরো এগারোর প্রজ্ঞাপন জারির পরে নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করবে সরকার। এছাড়া ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি জনবল কাঠামো সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির পূর্বে বিষয় অনুমোদনের বিপরীতে এবং তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ডিগ্রি ননএমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। আইসিটি ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদেরও এই সিদ্ধান্তের আওতায় আনা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহবার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাশেষে একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান এবং জনবল কাঠামো সংক্রান্ত এমপিও নির্দেশিকা ২০১০-এ যা-ই থাকুক, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত শ্রেণি, শাখা বা বিষয়ের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেবে প্রতিষ্ঠান। তাদের বেতনভাতা সরকার বহন করবে না।
সভায় উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতার সরকারি অংশ প্রদান সম্পর্কিত জনবল কাঠামো ১৯৯৫ এবং ২০১০-এ সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) প্যাটার্নভুক্ত। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী কম্পিউটার বিষয়টিকে তথ্য প্রযুক্তি নামে সংশোধন করা হয়। এ বিষয়টি উল্লেখ করে এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মতি চাওয়া হয়।
এছাড়া গত বছরের ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও তেরো এগারোর পরে নিয়োগ পাওয়া এমপিওবিহীন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া হাইকোর্টের রায়ের আলোকে বেসরকারি কলেজের ডিগ্রি শ্রেণির জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টিও সভায় উপস্থাপন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব।
সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর বাদপরা এসকল শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা
শে/টা/বা/জ