টানা দ্বিতীয় দিনে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম তালা ভেঙে অফিসে ঢুকেছেন বলে দাবি কর্মচারীদের।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল নয়টায় দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান আছে।
এর আগে ১৪ দফা দাবিতে বুধবার (৭ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা।
কর্মসূচির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক বিপ্লব খান টিপু বাংলানিউজকে বলেন, প্রশাসনের কাছে আগেও আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করছিল পরের সিন্ডিকেট সভায় দাবি মেনে নেওয়া হবে। একটি সিন্ডিকেট সভা হয়ে গেছে কিন্তু প্রশাসন দাবি মেনে নেয়নি। অবরোধ করেছি তারপরও উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। আজ (৮ জুন) আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করি। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে তালা কেটে অফিসে ঢুকেছেন।
কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো-
কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালায় ৮৩ ও ৮৪ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতায় ন্যায় ৮৫ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতা একই করা ও ঊর্ধ্বতন সহকারী, সর্টার গ্রেড-৩ এবং সমমানের কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল দেওয়া; তৃতীয় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ ভাতা, সব কর্মচারীদের ওভারটাইম বেসিক হারে দেওয়া; ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার বিভাগীয় শর্ত বাতিল করে শুধু পাস নম্বর পেলেই পোষ্যদের ভর্তি করানো; বাস ড্রাইভারদের ন্যায় বাস হেলপার, কন্ডাক্টরদের ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম দেওয়া; মাস্টাররোল ও দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ; সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে দেওয়া।
এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরাতন বাসা ভাড়া কমানো; হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন ভাতা ১২০০ টাকার পরিবর্তে বেসিকহারে ওভারটাইম দেওয়া; একটি নতুন পাবলিক/প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা চালু করা; রাঙামাটি কবরস্থান জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা; রাঙামাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থানান্তর করা; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সব সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং ও উইকেন্ডসহ সব ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার জামে মসজিদে ইমাম নিয়োগ করা ও ২০ নম্বর হল থেকে কলাবাগান আবাসিক এলাকায় পানি সংযোগ স্থাপন করা, শহীদ সালাম বরকত হল থেকে কলাবাগান মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার ঝুলন্ত তার সরিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করা।