বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছরের আর তাকে সহায়তা করার জন্য জোবাইদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া রায়ে তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে তাকে। আর জোবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা অনাদায়ে তাকেও আরও এক মাস সাজা ভোগ করতে হবে।
এদিকে তারেক রহমানের জব্দকৃত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিরা গ্রেফতার হওয়ার পর অথবা কোনো আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। এতে তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয় তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে।
এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। এ মামলা থেকে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চলতি বছরের গত ২৭ জুলাই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শেষ করেন। এরপর আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।