ঢালিউড ভাইজানের জন্মদিন বলে কথা। অনুরাগীদের উচ্ছ্বাসের কমতি থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। যে যার অবস্থান থেকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন প্রিয় নায়ককে। প্রতিবছর তারা আজকের দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।
অনুরাগীদের এই ভালোবাসা চোখ এড়ায় না শাকিব খানের। তাদের ভালোবাসায় আপ্লুত হন তিনি। তার ভাষায়, ‘জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। মানুষ আমাকে এত ভালোবাসেন! মাঝে মাঝে মনে হয়, তাদের এই ভালোবাসার প্রতিদান আমাকে দিতে হবে। আর সেকারণে ভালো ভালো কাজ উপহার দিতে চাই। এবারের জন্মদিনটা যুক্তরাষ্ট্রে করতে হচ্ছে। তবে মন পড়ে আছে আমার দেশের ভক্তদের কাছে। তাদের উন্মাদনা খুব মিস করছি।’
দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ঢালিউডে রাজত্ব করছেন শাকিব খান। একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে অনুরাগীদের মনে চড়া দামে জায়গা কিনে নিয়েছেন।
শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি চাকরীজীবী। মা গৃহিণী। তারা এক ভাই ও এক বোন। তার ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। ভাগ্য তাকে সিনেমায় নিয়ে এসেছে। বানিয়েছে সুপারস্টার।
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালোবাসা সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় শাকিবের। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে সিনেমাটি মুক্তি পায়। ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি তাকে সফলতা এনে না দিলেও ধীরে ধীরে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে হয়ে ওঠেন এক নম্বর নায়ক।
অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শাকিব খান। ২০১২ সালে ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১৪ সালে খোদার পরে মা, ২০১৬ সালের আরও ভালোবাসব তোমায় ও ২০১৭ সালে সত্তা ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে শাকিবের জন্ম। বয়সের হিসাবে ৪৩ বছরে পা রাখলেন এ অভিনেতা। তবে এখনও তিনি যেন সেই আঠারো বছরের তরুণ।