টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম সিরিজ ছিল ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’। ২০০০ সালে এটি উঠে আসে বড় পর্দায়। ২০০৩ সালে আসে সিক্যুয়েল ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস : ফুল থ্রটল’। এরপর দীর্ঘ বিরতি। প্রায় ১৬ বছরের বিরতি ভেঙে আবার সিনেমার পর্দায় আসছে ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’। আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’-এর নতুন এই সিক্যুয়াল।
এবার দুধর্ষ এই তিন সুন্দরীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, নওমি স্কট ও এলা বালিন্সকা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আরেক মেধাবী অভিনেত্রী ও পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাংকস। এর আগে, চার্লিস অ্যাঞ্জেলস ছবিতে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ড্রিউ ব্যারিমোর, ক্যামেরন ডিয়াজ ও লুসি লিউ। সেটা ২০০০ সালের কথা। এখন তিন সুন্দরীর ওপরই পড়েছে বয়সের ছাপ। তাই তাদের স্থান দখল করেছেন এ সময়ের তারকারা। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক এলিজাবেথ ব্যাংকস নিজেই। সঙ্গে আছেন জয় বসু।
ছবির পরিচালক হিসেবে যুক্ত হয়ে এলিজাবেথ বলেন, ‘নারী চরিত্রকেও ক্ষমতা ও শক্তির উৎস হিসেবে দেখানো যেতে পারে, এটা সত্তরের দশকে চার্লিস অ্যাঞ্জেলস টিভি সিরিজ দেখে শিখেছিলাম। আমি খুব রোমাঞ্চিত নতুন চার্লিস অ্যাঞ্জেলস-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে। ক্রিস্টেন, নওমি ও এলার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ।’
তিনি আরও জানান, আসন্ন নতুন অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি চার্লিস অ্যাঞ্জেলসের পুনরুজ্জীবনের গল্প নয়, বরং তা আগের দুটি সিনেমা ও টিভি সিরিজের কাহিনীর ধারাবাহিকতা ধরেই এগোবে। নতুন এ চলচ্চিত্রে দেখা যাবে এখন থেকে ৪০ বছর আগে তিনজন অ্যাঞ্জেলকে নিয়ে চার্লিস যে টাউনসেন্ড এজেন্সি শুরু করেছিলেন, তা এখন বিশ্বব্যাপী গুপ্তচর কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। চার্লিস ও তার অ্যাঞ্জেলরা সবসময় ব্যক্তিগত ক্লায়েন্টদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছেন ও তদন্ত করছেন। তাদের টাউনসেন্ড সংস্থা বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, নির্ভীক ও প্রশিক্ষিত নারীদের দল গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে। পরামর্শদাতা বোসলের কথামতো বিশ্বের কঠোরতম মিশনগুলো সম্পন্ন করছে অ্যাঞ্জেলসের দল। ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি।