শেরপুরের উদীয়মান তরুণ কবি অভিজিৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন নাঈম ইসলাম।
কোন বয়স থেকে লেখালেখির সাথে জড়িয়েছেন?
অভিজিৎ চক্রবতী: শৈশব থেকেই সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ ছিল। আর সেই অনুরাগ থেকেই লেখালেখি। এবারের অমর একুশে বইমেলায় আমার ‘ভূল শব্দের আওড়ে গিয়েছি প্রার্থনা’ এবং ‘মধ্যাহ মুখোশ’ দু’টি কবিতার বই আসছে।
আপনার ‘ভূল শব্দের আওড়ে গিয়েছি প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থে পাঠককে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
অভিজিৎ চক্রবর্তী:আমি ভুল করতে ভালবাসি, ভুল গুলোর মাসুল শুধিয়ে দিতেই বরং বারবার কবিতাই ফিরে আসি।এইযে প্রবাহমান জীবন যার ওজন বুঝতে না পেরে আমি আওড়ে গিয়েছি ভুল শব্দের প্রার্থনা।
আপনার ‘মধ্যাহ মুখোশ’ কাব্যগ্রন্থের বিষয় বস্তু কি?
অভিজিৎ চক্রবর্তী: মধ্যাহ্ন মুখোশের বিষয় বস্তু হলো : আমরা পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুখোশ তুলে নেই নিজের প্রয়োজনে। আর সেই সব মুুখোশ উন্মোচন করবে এই মধ্যাহ্ন মুখোশ। এছাড়া সমাজ ও মানুষের ব্যক্তিগত জীবন’কে করা হয়েছে বিশ্লেষণ যা পোস্টমর্ডাম নামে রয়েছে। এগুলো ঠিক কবিতা নয়, ম্যাক্সিম।
শুধু কবিতার মাঝেই ডুবে থাকতে চাচ্ছেন?
অভিজিৎ চক্রবর্তী: হ্যাঁ।কবিতাতেই তো জন্ম, তাই যতোদিন বেঁচে আছি চেষ্টা’টা চলবে। কবিতা যখন না হবে তখন হয়তো আমি জোর করে মরা কবি বেশে ঝুলে থাকবো না।
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পেছনে এমন কারোর নাম বলুন, যার উৎসাহ আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগায়?
অভিজিৎ চক্রবর্তী : আমি অনুপ্রেরণা পাই নিজের থেকেই,লক্ষ্যহীন জীবনে হঠাৎ একটা নৌকার মতো কবিতা’কে আঁকড়ে ধরি। আর আস্তে আস্তে জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের পর আপনার অনুুভূতি কেমন?
অভিজিৎ চক্রবর্তী : আমার কবিতাগুলো মলাট খুঁজে পেয়েছে ২০১৭ এর বই মেলায়।২০১৬তে দুটো যৌথ কবিতার বইয়ে কাজ করি। আর এ বছর দুটি কবিতার বই মেলায় থাকছে।এইযে অগ্রগতি,এটা পাঠকদের ভালোবাসা আর সম্মানেই এসেছে।
কবিতা নিয়ে আপনার স্বপ্ন সম্পর্কে বলুন?
অভিজিৎ চক্রবর্তী:আমার কাছে কবিতা হলো একটা অস্ত্র,যেটা পাঠকের মনে আঘাত করবে। কবিতা নিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগুচ্ছি। “হ্রী” নামক একটা বার্ষিক ম্যাগাজিনের কাজ করছি। আশা করছি পাঠক সেরাটাই পাবে।