১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুলের বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী। এরপর আর বাসায় না ফিরলে কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। কেটে যায় আরও কয়েক দিন। এবার র্যাবের কাছেও অভিযোগ করে মেয়ের খোঁজ চান তিনি।
অভিযোগ আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪-এর একটি দল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। গ্রেপ্তার করা হয় রায়হান হোসেন নামে এক অপহরণকারীকেও।
রোববার র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইডি মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টিকটকের ফাঁদে ফেলেই কিশোরীকে অপহরণ করেছিল একটি চক্র।
র্যাব জানায়, অপহরণকারীরা একটি টিকটক গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপে ৭-৮ জন সদস্য আছেন। তারা ঘন ঘন লাইভে এসে একে অপরের সঙ্গে বাক্যবিনিময় এবং তথ্য আদান-প্রদান করেন। এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য ঢাকা নর্দার রায়হান, রবিন ও খোকন। রায়হান একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে গাড়ি চালান।
গ্রেপ্তারের পর রায়হান জানান, নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তান আছে। খোকন অন্য একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন এবং রবিন নর্দায় একটি সেলুনে কাজ করেন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এই গ্রুপের আরও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী।
স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করত এই চক্রটি। তারা অত্যন্ত ধুরন্ধর-প্রকৃতির এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত। টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা বেনামী পরিচয় ব্যবহার করে।
অপহৃত কিশোরীর সঙ্গেও বেশ কিছুদিনের চেষ্টায় নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলে তারা। নিখোঁজ হওয়ার দিন কিশোরীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর নর্দায় আজিজ রোডের একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন রায়হান। পরে তারা সুকৌশলে কিশোরীকে ঢাকা থেকে গফরগাঁওয়ে নিয়ে যান।