আর মাত্র ক’দিন পরেই ঈদুল ফিতর। সারা দেশে চলছে ঈদের আমেজ ও নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটার ধুম। কিন্তু শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা ও শিশুসহ প্রায় ২শ’ লোকের মিলছে না ঈদের নতুন জামা কাপড়। ফলে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই ছিন্ন মূল মানুষ গুলো।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সরকারি অর্থায়নে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলী গ্রামে ৮.০৮ একর খাস জমির ওপর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তৎকালীন ৩৭ এসটি ব্যাটালিয়ন ইউনিট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। এতে এলাকার ছিন্নমূল ৬০টি পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন করা হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. মহর আলী ও মো. মহির উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, এবার ঈদে পুরাতন জামা কাপড়েই ঈদ হবে তাদের। অর্থের অভাবে জামা কাপড় কিনতে পারছেন তারা। প্রতিনিয়ত দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের।
কান্দুলী আশ্রয়ণ প্রকল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক এ প্রতিবেদককে জানান, পেটের তাগিদে অনেকেই এই আশ্রয়ন কেন্দ্র ছেড়ে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি জমিয়েছেন। এ আশ্রয়ণ কেন্দ্রের মানুষ গুলো খুব নিম্নমানের খাবার খেয়ে রমজান কাটাচ্ছে। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর ও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন তারা। যারা আশ্রয়ণ কেন্দ্র ছেড়ে কাজ কর্মের জন্য অন্যত্র আছেন তারাই হয়ত তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য দুই একটি নতুন জামা কাপড় কিনবেন। বাকিরা পুরাতন জামা কাপড়েই ঈদ করবেন।
উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ভিজিএফ’র বরাদ্দ এসেছে। কান্দুলী আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মধ্যে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হবে।