শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তি। রবিবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মাফাজ উদ্দিন ও নলকুড়া ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামের বোরহান উদ্দিন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মাজেদুর রহমান জানান, করোনা সন্দেহে গত ৮এপ্রিল অ্যাম্বুলেন্স চালকের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৯ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়। অপরজন নলকুড়া ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামের বোরহান উদ্দিন নারায়ণগঞ্জে রঙের কাজ করতেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ২২ মার্চ বাড়িতে আসলে কিছুদিন পর তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। গত ৯ এপ্রিল তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
১১ এপ্রিল বোরহান করোনাভাইরাস পরীক্ষায় আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই তারা হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা মনোবল হারাননি। হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। চিকিৎসকেরাও সব সময় তদের খোঁজখবর নিয়েছেন। করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পরপর দুইটি পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় ওই দুজনকে আজ (রবিবার) সুস্থ হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তারা হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন। এ ছাড়া আইসোলেশনে চিকিৎসারত রয়েছেন আরো দুই ব্যক্তি। তাদের নিয়মমাফিক পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া হবে।