শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে সাংবাদিক, একনারীসহ তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জন। এর মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে একজন সাংবাদিক। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল শেরপুরের আলো’র সম্পাদক ও প্রকাশক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের স্বামী।
তিনি ভেটেনারী সার্জন এবং নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ধানশাইল ইউনিয়নের বাগেরভিটা গ্রামের এক নারী। তাদের সবারই গত ৩০ মে শনিবার করোনা সন্দেহ হওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনমসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরীক্ষাগারের প্রতিবেদনে তাদের করোনার ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের স্বামী ভেটেনারী সার্জন হাসাপাতালের কোয়াটারেই আইসোলেশনে আছেন। সাংবাদিকসহ এক নারী তারা তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন।
জেলা সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে সামাজিক সংস্পর্শের কারণেই সাংবাদিক, ডাক্তার (ভেটানারী সার্জন) সহ ওই ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি।