শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ২য়’দফায় সরকারীভাবে সরাসরি ধান কিনতে কৃষকদের তালিকা প্রণয়নে লটারি করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও রুবেল মাহমুদের উপস্থিতিতে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের আওতায় খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির জন্য উপজেলার ৩ হাজার ৮১ আগ্রহী কৃষক থেকে ৭২২ জনকে বাছাই করে তালিকা চূড়ান্ত করতে এই লটারি করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. খলিলুর রহমান, মালিঝিকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা, গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু, কৃষক প্রতিনিধি আজাহার প্রমুখ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. খলিলুর রহমান বলেন, এই উপজেলায় ২য়’দফায় ৭২২ মে. টন ধান সংগ্রহ করা হবে। বরাদ্দের চেয়ে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৭২২ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ১ মে.টন করে ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, মাইকিং করে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির জন্য আগ্রহী কৃষকদের আবেদন গত সোমবার (১৫জুলাই) পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়। এতে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় লটারি করে কৃষকের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, প্রকৃত কৃষকেরা যাতে ধান দিতে পারেন, সে জন্য লটারির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে খাদ্য গুদামে ৪৩৩ মে.টন ধান কিনার জন্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ওই বরাদ্দ থেকে এ পর্যন্ত ৪২২ মে.টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।