শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বৈধ সম্পত্তি দখলের নানা পায়তারার অভিযোগ উঠেছে শেরপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ী চালক আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদিগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে ভু্ক্তভোগি পরিবারটি।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামসুদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, আমরা ৮ ভাই-বোন। আমাদের দুই পরিবারের প্রধান আব্দুল আলী ও লাল মিয়া উভয় ভারত বিতারিত মহাজের। প্রায় বিগত ৬০ বছর ধরে বৈধ ১৬ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু শেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ড্রাইভার আব্দুল বাতেন এই সম্পত্তি দখল করার জন্য নানা পায়তারা করছেন তিনি। ইতিপুর্বে মিথ্যা মামলাসহ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ ছাপানো হয়েছে। পাশাপাশি ভুয়া দলিল করে এই জমি বেদখলের পায়তারা করছে। তার ভয়ে এলাকার সবাই মুখ বন্ধ করে থাকে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এ ব্যাপারে শেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ড্রাইভার আব্দুল বাতেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি কোন ভুয়া দলিল সম্পাদন করিনি। আর ভুয়া দলিল দ্বারা কোন জমির বৈধ মালিক হওয়া সম্ভব নয়। আমি যে জমিগুলো ভোগ দখল করছি, তাহার বৈধ কাগজের আলোকেই করছি। তাছাড়া তারা যে জমির উপর সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেটি আমার দাবীকৃত জমি নয়, প্রকৃত পক্ষে এটি বাংলাদেশ সরকারের। আর সেটি সরকারের পক্ষে স্থানীয় ভুমি প্রশাসন পরিমাপ করে লাল নিশাণ লাগানোর পরেই তারা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এছাড়া ৮টি দাগের উপর আদালতে মামলা চলমান আছে এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ রয়েছে। এলাকার কিছু লোক আমার প্রতি ঈর্শানিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগন্ডা ছড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সখিনা খাতুন, আক্তার আলী, নুর ইসলাম প্রমুখ।