শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামে আয়োজিত বিয়ে অনুষ্ঠানে ইউএনও রুবেল মাহমুদ উপস্থিত হয়ে বিয়েটি ভেঙে দেন। এসময় প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ে দেবেন না মর্মে কনে ও বরপক্ষের পরিবারের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের নূনখোলা গ্রামের এক যুবকের (১৯) সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদ জানতে পেরে ইউএনও রুবেল মাহমুদ কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে পান।
পরে কিশোরীর পরিবার ও বরপক্ষের লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করতে বলেন। অন্যথায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি তাদের জানান। ইউএনও’র কথা মেনে দুই পক্ষের অভিভাবকেরা এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও রুবেল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।